29 C
Kolkata

viral: শুয়োরের হৃদযন্ত্র মানব দেহে, মৃত্যু রোগীর

নিজস্ব প্রতিবেদন :ইতিহাসে প্রথমবার মানবদেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল শুয়োরের হৃদযন্ত্র। বিশ্বজুড়ে অঙ্গদানের ক্ষেত্রে যে সমস্যার মুখে পড়তে হয়, তা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে, এমন আশাই ২ মাস আগে করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু আশা সফল হল না। বড়সড় ধাক্কা খেল চিকিৎসাবিজ্ঞান। হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের দু’মাসের মধ্যেই মৃত্যু হল সেই রোগীর।
গত জানুয়ারি মাসে বাল্টিমোরের ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিকেল স্কুলের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল, ৫৭ বছরের এক ব্যক্তির দেহে শুয়োরের হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এই প্রতিস্থাপনের আগে শুয়োরটির জিনগত পরিবর্তন করা হয়েছিল।

প্রতিস্থাপনের পরে ওই রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং তাঁর অঙ্গ ঠিকঠাকভাবে কাজ করছে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।

ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিকেল স্কুলের তরফে জানানো হয়েছিল, ডেভিড বেনেট নামে ওই ব্যক্তি কয়েক মাস ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন। যন্ত্রের মাধ্যমে তাঁর হৃদপিণ্ড সচল রাখা হয়। তাঁর শরীরের যা অবস্থা ছিল, তাতে মানুষের হৃদপিণ্ড দিয়ে প্রতিস্থাপনের ধকল তিনি সইতে পারতেন না। তাই চিকিৎসকরা শুয়োরের হৃদযন্ত্র দিয়ে কাজটি করেন।

কিন্তু সব কিছু নিয়মমাফিক চলে না। বুধবার সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। ফলে অন্য প্রাণীর অঙ্গ মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে গবেষণার কাজ আবার এক ধাপ পিছিয়ে গেল।

আরও পড়ুন:  Weather update : কবে মিলবে প্রচন্ড এই গরম থেকে মুক্তি ? কী বলছে আবহাওয়া দফতর

Russia-Ukraine Crisis : একাই অন্য দেশে গেল ইউক্রেনের খুদে

দুটি ছোটো ব্যাগ, একটি পাসপোর্ট। এইটুকুই সম্বল। আর তাই নিয়েই ১,২০০ কিলোমিটারের পথ পাড়ি দিল ছোট্ট ছেলে। পূর্ব ইউক্রেন থেকে নিরাপদে স্লোভাকিয়ায় পৌঁছল হাসান।

১১ বছরের হাসানের বাড়ি জাপোরিঝিয়াতে। তার দিদার অনেক বয়স। তাই তাঁকে ছেড়ে ছেড়ে যেতে পারেননি তিনি। কিন্তু হাসানের যে নিরাপদ স্থানে পৌঁছনো প্রয়োজন। তাই মায়ের নির্দেশ মতো একা একাই রওনা দেয় সে।

হাসানের মা তাকে ট্রেনে তুলে দেন। লম্বা যাত্রার পর অবশেষে ছোট্ট হাসান সীমান্তে পৌঁছান। এরপর কাস্টমস অফিসাররা তাকে সাহায্য করেন।

ছেলেটি যখন সীমান্তে পৌঁছোয়, তার হাতে ছিল একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ, একটি ছোটো লাল ব্যাকপ্যাক এবং পাসপোর্ট। স্বেচ্ছাসেবকরা তাকে খাবার এবং পানীয় দেয়। অন্যদিকে, সীমান্তের কর্মকর্তারা স্লোভাকের রাজধানী ব্রাতিস্লাভাতে হাসানের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

হাসানের মা, স্লোভাক পুলিশের পোস্ট করা একটি ভিডিয়োয় তাঁর ছেলের যত্ন নেওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ‘আমার শহরের পাশেই একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট আছে। সেখানে রুশ বাহিনী গোলাগুলি চালাচ্ছে। এদিকে আমার মা অসুস্থ। তাই আমি তাঁকে ছেড়ে যেতে পারিনি। কিন্তু আমার ছেলের জীবন পড়ে আছে। তাই আমি ছেলেকে একা একাই স্লোভাকিয়ায় আত্মীয়দের কাছে পাঠিয়েছি,’ জানান জুলিয়া পিসেকা নামের ওই মা। জুলিয়ার স্বামী হাসানের বাবা অনেক আগেই গত হয়েছেন।

আরও পড়ুন:  Local Train: খড়গপুরে লাইনচ্যুত লোকাল ট্রেন ! জখম বেশ কয়েকজন

জাপোরিঝিয়ার পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ইউরোপের বৃহত্তম। এটিতে বড় বিস্ফোরণ ঘটনো হলে তা ১৯৮৬ সালের চেরনোবিল বিপর্যয়ের চেয়েও অনেক বড় মাত্রায় হতে পারে। এ বিষয়ে আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি। লাগাতার আক্রমণের পরে গত সপ্তাহে রাশিয়ার সেনাবাহিনী এর দখল নিয়েছে।

এখনও পর্যন্ত ইউক্রেন ছেড়েছেন ২০ লাখেরও বেশি মানুষ। এর মধ্যে ১২ লক্ষেরও বেশি পোল্যান্ডে এসেছেন। অন্যদিকে ১ লক্ষ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ স্লোভাকিয়ায় গিয়েছেন।

Featured article

%d bloggers like this: