কখনও কখনও শিশুরা নানা কারণে এত জেদ করে যে বাবা-মায়েদের পক্ষে সামলানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সে সময় বাচ্চার জেদ সামলাতে অনেকেই তাদের হাতে ফোন দিয়ে দেন বা টিভিতে কার্টুন চালিয়ে দেন। এটি কেবল ছোটদের ক্ষেত্রে নয়, বড় বাচ্চারাও টিভি ও মোবাইল দেখে আনন্দ পায়। তবে সাময়িক স্বস্তি পাওয়ার চক্করে মা-বাবা ভুলে যান যে অতিরিক্ত সময় টিভি এবং মোবাইলে চোখ রাখার কারণে বাচ্চার চোখে এবং কানে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
একটি সমীক্ষা অনুসারে, ২ থেকে ১০ বছর বয়সী বাচ্চারা প্রতিদিন গড়ে ২ ঘন্টা ৭ মিনিট স্ক্রিনটাইমে ব্যয় করে। আমেরিকান একাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্স অনুসারে যে শিশুদের বয়স ২ বছরেরও কম, তাদের টিভি বা ফোনের স্ক্রিনে অভ্যস্ত হওয়া ঠিক নয়। তাই আপনার বাচ্চারও যদি একই বদ অভ্যাস থেকে থাকে, তাহলে জেনে নিন তাদের চোখ-কানের যত্ন নেবেন কী ভাবে।
দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, বহুক্ষণ টিভি বা মোবাইল দেখলে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়, যে কারণে কিছু সময়ের জন্য দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে। টিভি বা গ্যাজেট ব্যবহার করার সময় আপনার শিশুর চোখের পাতায় একবার করে হাত বুলিয়ে দিন। আর যদি বাচ্চার ড্রাই আইয়ের সমস্যা বাড়তে থাকে, তাহলে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শে নিয়ে ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।
বাচ্চারা যদি কয়েক মিনিটের বেশি সময় স্ক্রিনের দিকে তাকায়, তাহলে স্ক্রিনের আকার চোখের উপর প্রভাব ফেলে। তাই মোবাইল স্ক্রিনে ছবি যত বড় হবে চোখের ওপর চাপ তত কম পড়বে। যদি আপনার সঙ্গে সন্তান কোনও সিনেমা বা প্রোগ্রাম দেখে, তাহলে ফোন বা ট্যাবলেটের পরিবর্তে টিভির পর্দায় দেখুন। তবে শুধুমাত্র পর্দার আকারই যে শিশুর চোখকে ক্ষতির হাত থেকে রেহাই দেবে এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই।
তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের হেডফোন দেওয়া উচিত নয়। তবে আপনার শিশু যদি হেডফোন ব্যবহার করে তাহলে ভলিউম কম রাখুন৷ ডিভাইসের ভলিউম লেভেল ৫০% বা তার কম রাখা উচিত। এতে শিশুর কানের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমবে।