নিজস্ব সংবাদদাতা : বাড়ির সেফটি ট্যাংক থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশ এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল সন্ধ্যায় কার্তিক দাস নামে কাশিপুরের এক ব্যক্তি দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করে যে তার ভাই বছর ৩৫-এর গণেশ দাসের সাথে দমদম বেদিয়াপাড়ার বাসিন্দা ময়না দাসের বিয়ে হয় ১০ বছর আগে। বিয়ের কিছু মাস পর থেকেই তার ভাই গণেশ দাস শ্বশুড়বাড়িতে থাকতে শুরু করে। তার ভাই রোজ মদ্যপান করত। তাই ভাইয়ের স্ত্রী ময়না দাস ও শ্বশুড়বাড়ির লোকজন তার ভাইকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নিগ্রহ করত। গতকাল তিনি খবর পায় ভাইয়ের শ্বশুড়বাড়ির সেফটি ট্যাঙ্কে তার ভাইয়ের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। এরপরে তিনি দমদম থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গণেশ দাসের দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই খুন সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় গণেশের স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে খুনের ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন ময়না দাস।