নিজস্ব প্রতিবেদন: ভয় ধরাচ্ছে দিল্লি। এর মাঝেই রাজ্যে চালু হল করোনার সেন্টিনাল সার্ভে। পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতির গতিপ্রকৃতি আরও ভালোভাবে বুঝতে বুধবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করল স্বাস্থ্যদপ্তর। ২৯ তারিখ পর্যন্ত চলবে এই সমীক্ষা। রোজ নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হবে কোভিড পরীক্ষার জন্য। ২৩টি জেলায় চলবে এই প্রক্রিয়া। ৫টি স্বাস্থ্য জেলা থেকে ৪০০ করে, মোট ১২ হাজার নমুনা সংগ্রহ করা হবে। সত্যিই করোনার নতুন কোনও রূপ রাজ্যে এসেছে কি না, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ভিওসি বা ‘ভেরিয়েন্ট অব কনসার্ন’ খুঁজে বের করার কাজও চলবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কল্যাণীর গবেষণাগারে নমুনা পাঠানো হবে। স্বাস্থ্যদপ্তরের এক সূত্র এই খবর জানা গেছে। বর্তমানে রাজ্যে কোভিড পজিটিভিটি বা মোট পরীক্ষা হওয়া নমুনার মধ্যে পজিটিভ নমুনার সংখ্যা ০.৪৩। সামান্য হলেও কোভিড বেড়েছে এরাজ্যে। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই দেখছে দপ্তর। তাই এখন বিভিন্ন হাসপাতাল এবং পরে সাধারণ মানুষের থেকে (পরিস্থিতি থেকে) নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
চলতি বছর মার্চ মাসে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধের সঙ্গে ছিল একাধিক নিষেধাজ্ঞা। তবে এপ্রিল মাস থেকে তা তুলে নেয় সরকার। কেন্দ্রের নির্দেশের পরই তুলে নেওয়া হয় এই বিধিনিষেধ। এরপরই শুরু হয় উচ্চ মাধ্যমিক। যে কারণে বাসে-ট্রামে বাড়তে থাকে ভিড়। এছাড়াও বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর থেকে কমতে শুরু করেছে মাস্কের ব্যবহার। চিকিৎসকেরা বারবার বলছেন, সবসময় না হলেও ভিড়ে মাস্ক ব্যবহার প্রয়োজন। কিন্তু কে কার কথা শোনে। বিধিনিষেধ তোলার পরই অসচেতনতা শুরু। মনে করা হচ্ছে, রাজ্যে চোখের আড়ালেই করোনা বাড়ছে না তো? মাস্ক না পরলে ৫০০ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ। এবার এরাজ্য নিয়েও শুরু সচেতনতা।