নিজস্ব সংবাদদাতা: বেশ কয়েকদিন থেকে তিস্তার জলোচ্ছ্বাসের কারনে প্লাবিত হয়ে পড়ে তিস্তা নদীর চরে অবস্থিত বাহীর চর এলাকার শতাধিক পরিবার। উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বোয়ালমারীর নন্দনপুর অঞ্চলের তিস্তা নদীর চরে একটি বুথ রয়েছে। যেখানে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার লোক বসবাস করেন। যাদের মূলত কৃষিকাজ ও পশুপালনের মধ্য দিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। প্রতিবছরই বর্ষায় তিস্তা নদীর উত্তাল ও ভয়াবহতায় বিলীন হয়ে যায় আবাদি জমি সহ বসতবাড়ি। তবুও তারা নিরুপায় হয়ে বেঁচে থাকেন কৃষিকাজ ও পশু পালনের মধ্য দিয়ে রুজি রোজগারের উদ্যেশে। বিগত বেশ কিছুদিন আগেই তিস্তা নদীর ওপরে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জিতেন বিশ্বাস এনআরজিএস প্রকল্পের আর্থিক সহায়তায় এবং এলাকার মানুষের তৎপরতায় নির্মাণ করেন বাঁধ। কিন্তু তিস্তার উত্তাল জলোচ্ছ্বাসে ভেঙে যায় নব নির্মিত বাঁধটিও। আর এর ফলে প্লাবিত হয়ে পড়ে বেশ কয়েকটি গ্রাম। ইতিমধ্যেই জিতেন বিশ্বাসের উদ্যোগে প্লাবিত এলাকায় ত্রিপল বিতরণ করা হয়। মোট ২৫৮টি ত্রিপল দেওয়া হয় জলে প্লাবিত পরিবারগুলিকে। এছাড়াও ইন্ডিয়ান রেডক্রস সোসাইটির পক্ষ থেকে ২০টি পলিথিন এবং ৪০ কার্টুন পানীয় জল দেওয়া হয় প্লাবিত এলাকায়। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জিতেন বিশ্বাস বলেন, সাত দিন ধরে একনাগারে তিস্তার জলস্ফীতি কারণে বেশ কিছু পরিবারের বাড়িঘরে জল জমে যাওয়ার কারণে মানুষসহ গৃহপালিত পশু, পাখিদের নিয়ে এক চরম সমস্যার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন চরে বসবাসকারী সাধারণ মানুষরা। এমতঅবস্থায় ব্লক থেকে প্রেরিত ২৫৮টি ত্রিপল বন্যা কবলিত পরিবারগুলির হাতে তুলে দিই। তিনি আরো বলেন, সরকারের তরফ থেকে যদি কিছু শুকনো খাবার এবং আরো অন্যান্য সামগ্রী দেওয়া হয় তাহলে এসময় বেশ কিছু পরিবার ভীষণ উপকৃত হবে।