নিজস্ব সংবাদদাতা : ১৯ ডিসেম্বর বঙ্গ রাজনীতিতে এযাবত্কালের সবথেকে বড় পালাবদল । রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে বিজেপির মাস্টারস্ট্রোক । খোদ পদ্ম শিবিরের সেনাপতি অমিত শাহ নিজ হাতে বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম দাপুটে নেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাতে পতাকা তুলে দিয়ে বরণ করে নেন বিজেপিতে ।
এযাবত্কালে তৃণমূলত্যাগী ছোট বড় কোনও নেতার কপালেই এমন অভ্যর্থনা মঞ্চ জোটেনি । শুভেন্দু অধিকারীকে যে দলের আর-পাঁচজন নেতার সঙ্গে এক সারিতে ফেলছে না পদ্মশিবির তা স্পষ্ট । দলের মধ্যেও গুরুত্ব বোঝাতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ।
বছরের শেষ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে বড় পুরস্কার পেলেন শুভেন্দু অধিকারী। জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান করা হল শুভেন্দুকে। জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান মানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সমতুল্য একটি পদ।অনেকের মতে শুভেন্দুকে লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। রাজ্য বিজেপির অনেক নেতা সিআইএসএফের নিরাপত্তা পান।
কিন্তু শুভেন্দুকে সিআরপিএফের নিরাপত্তাবলয় ঘিরে রাখে। তাঁর পিছনে কালো স্যুট পরে যে নিরাপত্তারক্ষী দাঁড়িয়ে থাকেন তাঁরা সিআরপিএফের নিরাপত্তারক্ষী। এতেই অন্যদের সঙ্গে শুভেন্দুর ফারাক স্পষ্ট। শুধু তাই নয় , হেস্টিংসে বিজেপির নতুন নির্বাচনী কার্যালয়ে শুভেন্দুর জন্য তৈরি হয়েছে নিজস্ব অফিস ঘর ।
এমন সম্মান নব নিযুক্ত কোনও নেতা তো দূরস্থান দলের প্রথম সারির সব নেতার কপালেও জোটেনি । বিজেপিতে যোগদানের একমাসও হতে না হতেই হাইকম্যান্ডের নির্দেশে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সমতুল মর্যাদার পদে শুভেন্দু অধিকারী। পর্যবেক্ষকদের মতে, এক তো বাংলারজন্য জুট কর্পোরেশন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
দুই, কলকাতার নেলি সেনগুপ্ত সরণিতে জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার দফতর রয়েছে। কলকাতায় এলে শুভেন্দু সেখানে অফিসে বসতে পারবেন। তাঁর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। চাইলে নিজাম প্যালেসেও বসতে পারবেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেতা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে একুশে ভোটের মুখে শুভেন্দু বাবুর জন্য এটাই নাকি দলবদলের পুরস্কার।