নিজস্ব প্রতিবেদন: এবার ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাব পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকায়। মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি। এরই মধ্যে ভাঙ্গন নিয়ে আতঙ্কিত ক্যানিংয়ের মধুখালি গ্রামে। তবে এনিয়ে বিধায়ক আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত নদী বাঁধ মেরামত করা হবে।
উল্লেখ্য, ভয়াবহ দুর্যোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। যার ফলে দুঃখ, দুর্দশার শেষ নেই সাধারণ মানুষের। বাঁধ ভেঙে প্লাবনের আশঙ্কায় উপকূলবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মাতলা নদী। মধুখালি থেকে সন্দেশখালি পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার নদীবাঁধের ভগ্নদশা। গতকাল, মঙ্গলবার ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস বাঁধ পরিদর্শনে যান।
অশনি সমুদ্রেই শক্তি খুইয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর অভিমুখ বদল করল। এই ঝড়ের গতি উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিকে। বাংলায় ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে গাঙ্গেয়পশ্চিমবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এর মধ্যে দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া ও দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, বুধবার সন্ধে নাগাদ পৌঁছবে অন্ধ্রের উত্তর উপকূলে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় নিম্নচাপে পরিণত হবে। এই মুহূর্তে অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। তবে এখনও পর্যন্ত ল্যান্ড ফলের সম্ভাবনা নেই। ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা উপকূলে। বিশাখাপত্তনম ও পুরীতে উত্তাল সমুদ্র। জলোচ্ছ্বাসও রয়েছে।