নিজস্ব সংবাদদাতা : কার্তিক মাসের সংক্রান্তিতে ঘটা করে অন্নভোগ সহকারে মাছের ঝোল দিয়ে পূজিতা হন চাঁচলের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রক্ষাকালী। ১৬ তারিখ ছিল কার্তিক মাসের শেষ দিন অর্থাৎ সংক্রান্তি। আর সেই সংক্রান্তিতে বহু বছর ধরে চাঁচলের জেলে পাড়া এলাকায় বৈষ্ণব মতে পুজো হয়ে আসছে রক্ষাকালীর। এই পুজো প্রায় ১০০ বছরের বেশি প্রাচীনপুজো হিসেবে পরিচিত।
জানা গিয়েছে, এই পুজো শুরু হয়েছিল চাঁচলের রাজা ঈশ্বর চন্দ্র রায় চৌধুরীর হাত ধরে। স্বপ্নাদেশ পেয়ে প্রজাদের মঙ্গলের জন্য এই পুজোর সূচনা করেছিলেন তিনি। তবে বর্তমানে রাজা নেই, রাজপাটও চলে গিয়েছে সেই কবে। রাজা না থাকলেও রাজার হাত ধরে চালু হওয়া সেই পুজো কিন্তু রয়ে গিয়েছে।
এরপর পুজোর হাল ধরেছে স্থানীয়রা। এই পুজো হয়ে আসছে সেই প্রাচীন রীতি মেনে। পুজোর বিশেষত্ব হল কার্তিক মাসের সংক্রান্তিতে পুজোর আয়োজন করা হয়। মাকে অন্যান্য ভোগের সঙ্গে মাছ ও মাছের ঝোল নিবেদন করা হয়। গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই পুজো। পুজো শেষ হয়ে গেলে রাতেই মায়ের কাছে নিবেদন করা হয় সেই ভোগ। ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ ও অন্নভোগ বিতরণ করা হয়।
আরও জানা গিয়েছে, দূরদূরান্ত থেকে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয় এই পুজোকে ঘিরে। প্রচুর ভোগের ডালা করা হয়। পুজোর পর দিন সন্ধ্যাবেলা প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় চাঁচলের রানী দীঘিতে। দেবীর বেদীর সামনে একটি পুকুর রয়েছে সেই পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া। এবার করোনা আবহে মানুষজন মুখে মাস্ক পরে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এই পুজোয় অংশ নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন রক্ষাকালী পুজো কমিটির সম্পাদক প্রবীর কুমার মুখোপাধ্যায় ।