31 C
Kolkata

দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে,হাওড়ার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারী মুখ্যমন্ত্রীর

টিকিয়াপাড়ায় পুলিশের উপর আক্রমণের ঘটনায় দোষীদের কেউ ছাড় পাবে না। আক্রমণকারীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। টুইট করে জানিয়ে দিল রাজ্য পুলিশ।কলকাতা পুলিশের টুইটকে রিটুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে হাওড়াকে রেড জোন হিসাবে ঘোষিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। ঠিক মঙ্গলবার হাওড়া শহরে এই ঘটনায় প্রশাসন যে আরও কড়া পদক্ষেপ নেবে তা মুখ্যমন্ত্রীর রিটুইটে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

এবিষয়ে কংগ্রেস নেতা কৌশিক মুখার্জির সঙ্গে কথা বলে দ্য কোয়ারি। তিনি বলেন, এদিন বিকালে রোজা খোলার আগে বছর ৫০ এর একজন মহিলা খেজুর কিনতে বেরোন। বাড়ির বাইরে মহিলাকে খেঁজুর কিনতে দেখে পুলিশ তাকে বেত্রাঘাত করে। তখনই ঘটনার প্রতিবাদ করেন স্থানীয় কিছু মানুষ। পরে পুলিশের সঙ্গে তাদের বচসা শুরু হয়। পরে ঘটনাটি বিরাট আকার নেয়।

আরও পড়ুন:  TMC: কোন্নগর পৌরসভার পৌরপিতা স্বপন দাসের উদ্যোগে চমক

তিনি আরও বলেন, এই মুহুর্তে মানব সভ্যতা খুব খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে। এখন সবাইকে একসাথে পাশে থেকে কাজ করতে হবে। পুলিশের উচিত ইফতারের সময় মানুষের সাথে আরও মানবিক রূপ নিয়ে ব্যবহার করা।

পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, এই মুহুর্তে লকডাউন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিশকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষের উচিত পুলিশের পাশে থেকে তাদের সহযোগিতা করা। নাহলে এরকম ঘটনা মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাড়াতে পারে।

লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে হাওড়ায় আক্রান্ত পুলিশ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘটনা বলছেন বিধায়ক
তবে ইফতারের সময় সকাল বেলার পাশাপাশি বিকেলের দিকেও লকডাউন শিথিল করার জন্য প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে লকডাউন অমান্য করে পথে নামায় পুলিশ বনাম স্থানীয় বাসিন্দা খন্ডযু্দ্ধ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় র‍্যাফ। উপস্থিত হন পুলিশের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বেলিলিয়াস রোড এলাকা।

আরও পড়ুন:  Lifestyle tips: নরকেল ছড়াতে সমস্যা হচ্ছে ? জেনে নিন সহজ পদ্ধতিতে খোলা থেকে নারকেল ছড়াবেন কী করে!

আশপাশের দোকান এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট ছুড়তে থাকে উত্তেজিত জনতা। র‍্যাফের লোকজনদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ রায় বলেন, এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘটনা। টিকিয়াপাড়ার মানুষ শান্তি প্রিয় মানুষ। এই এলাকার মানুষ দুর্গাপূজা এবং ঈদ একসঙ্গে পালন করে। তিনি আরও বলেন, হাওড়া জেলা তথা পশ্চিম্বঙ্গকে করোনা মুক্ত করতে গেলে আমাদের সকলকে সংযত হতে হবে।

Featured article

%d bloggers like this: