চয়নিকা চন্দ্র, কলকাতা: দুদিনের ধর্না শেষ হল গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২২ সালের মে মাস থেকে ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুসারে রাজ্যে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় পাঁচ হাজার জন।
শুরু হয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশের কন্যা অঙ্কিতার বরখাস্ত দিয়ে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক হিসাবে এত দিন অঙ্কিতা যত বেতন পেয়েছেন, তা ফেরত দিতে হবে। অঙ্কিতা সেই টাকা ফেরত দিয়ে দেয়।
এরপর আদালতের নির্দেশে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়ে হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ, চট্টোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক, এসএসসি নিয়োগ নিয়ে তৈরি উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিন্হাকে। আদলতের নাম না নিলেও টাকা ফেরানো এবং সিবিআই দফতরে হাজিরা দু ক্ষেত্রেই গতকাল মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘দু’ঘণ্টায় চাকরি ছাঁটাই! আমরা যাতে চাকরি দিতে না পারি। অনেক চাকরি রেডি করে রেখেছিলাম। কখনও বলছে দু’হাজার লোকের চাকরি ছাঁটাই। কখনও বলছে পাঁচ হাজারের। কখনও বলছে দু’ঘণ্টার মধ্যে সিবিআই অফিসে যাও! দু’ঘণ্টার মধ্যে টাকা ফেরত দাও!’’ নির্দিষ্ট কারো নাম নেননি তিনি। কিন্তু তাঁর ইঙ্গিত ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন নির্দেশের প্রতি। অবশ্য অনেকের মতে, মুখ্যমন্ত্রী শুধুমাত্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।