নিজস্ব প্রতিবেদন : মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূল ও বিজেপির বেশ কিছু কর্মসূচি ছিল। ক্যানিংয়ে রোড শো করে জনসভা করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কুলতলিতে বিজেপির কর্মসূচিতে ছিলেন বাবুল সুপ্রিয় ও শুভেন্দু অধিকারী। জয়নগর থেকে রথে কুলতলিতে যান শুভেন্দু, সেখানে ভাষণও দেন। ফেরার পথে বারুইপুরে একটি হোটেলে খেতে ঢুকেছিলেন তিনি, সঙ্গী হিসেবে ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। ওই হোটেলেই হাজির হন কুণাল ঘোষ।
সূত্রের খবর, শুভেন্দু-বাবুল ও কুণালের মধ্যে মিনিট দশেক কথা হয়েছে, তবে প্রকাশ্যে এনিয়ে কোনও তরফেই প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তৃণমূল সূত্রে খবর, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে ‘আড্ডা’ দিয়েছেন কুণাল ঘোষ।
বিধানসভা ভোটের এমন উত্তপ্ত আবহে এই তিন রাজনৈতিক চরিত্র একসঙ্গে ! শুরু হয়েছে তুমুল জল্পনা। যদিও সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেই দাবি দুই শিবিরের।
তবে সাক্ষাতের ‘টাইমিং’ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। শুভেন্দু সভায় ঢোকার আগেই কুলতলিতে ভাষণ দিয়ে সভামঞ্চ ছেড়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়, কয়েক ঘণ্টা পরে সেই বাবুলই আবার শুভেন্দুর সঙ্গে বারুইপুরের হোটেলে ! কিভাবে সম্ভব ? সেইখানেই আবার হাজির হলেন কুণাল ঘোষও। বাবুল অনেক আগে বেরিয়েও কীভাবে এলেন সেখানে ? এমন ‘টাইমিং’ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে রাজ্য রাজনীতিতে। কিছুতেই যেন সময়ের হিসাব মেলাতে পারছেন না রাজনৈতিক কর্মীরা। অনেকেই মনে করছেন, আবারও হয়তো উইকেট পড়তে চলেছে তৃণমূলের। জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক দলের অন্দরে।