নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের সপ্তাহের প্রথমদিনেই পথ দুর্ঘটনার সাক্ষী হল জলপাইগুড়ি। ট্রাক-অ্যাম্বুল্যান্সের মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে মৃত্যু হয় ৩ জনের। এছাড়াও গুরুত্বর আহত ২। ঘটনাটি ঘটেছে, ফুলবাড়ির আমাইদিঘি এলাকায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে, রবিবার রাত ১২:৩০ টা নাগাদ ময়নাগুড়ির বাসিন্দা মুক্তি সাহাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের দিকে আসছিল। সেই সময় হটাৎ-ই স্ট্রোক হয়ে যায় মুক্তির মাইল্ড। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায়, ঘন কুয়াশার কারণেই এই ভয়ানক দুর্ঘটনা। বিকট আওয়াজের জেরে বেরিয়ে আসে স্থানীয় বাসিন্দারা। গুরুতর জখমদের উদ্ধার করে স্থানীয় মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় চিকিৎসার জন্য। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
প্রসঙ্গত, আবারও পথ দুর্ঘটনার সাক্ষী হল জলপাইগুড়ি। মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় কয়লা বোঝাই লরির সঙ্গে পেঁয়াজ বোঝাই একটি লরির। সূত্র্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে, জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির ধূপগুড়ির গিলান্ডি ব্রিজ লাগোয়া এলাকায় রাত ১ টা নাগাদ এশিয়ান হাইওয়ের ওপর পণ্যবোঝাই দুটি লরির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এর সংঘর্ষের ফলে আগুন লেগে যায় ওই কয়লা বোঝাই লরিটিতে। এই ঘটনায় দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষন যান চলাচল ব্যহত হয়। তারপর পুলিশি তরপরতায় এশিয়ান হাইওয়েতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ফের অগ্নিকান্ডে সাক্ষী হল জলপাইগুড়ি। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে, বুধবার গভীর রাতে বিধ্বংসী আগুনের ভস্মীভূত হয়ে যায় দু’টি বাড়ি সহ একটি দোকান। এই ঘটনাটি নজরে আসতেই খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। তড়িঘড়ি দমকলের ৩ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায় নি। ঘটনাটি ঘটেছে, জলপাইগুড়ির বানারহাট হাটখোলা এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এদিন গভীর রাতে আগুনের কালো ধোঁয়া এবং লেলিহান শিখা দেখতে পান। দমকলকর্মীদের খবর দেওয়ার পাশাপাশি স্থানিয়রা সেই আগুন নেভানোর কাজ নিজেরাই উরু করে দেয়। তার পর ধূপগুড়ি এবং মালবাজার দমকল কেন্দ্রের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। প্রায় ঘন্টা দেড়কের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। নতুন বছরের শুরু হচ্ছে তার এক মাসও পার হতে না হতেই অঘটন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। কখনও আগুন, কখনও পথ দুর্ঘটনা আবার কখনও ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনার মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে শহর ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।