শ্রাবণী পাল: সম্প্রতি নচিকেতা চক্রবর্তীর লাইভ শো-এর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। দর্শকাসন থেকে হিন্দি গান শোনানোর অনুরোধ এলে ক্ষিপ্ত হন গায়ক। পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘কেন বাংলা গানে কী সমস্যা তোমার? একথা বিহারের মাটিতে গিয়ে বলতে পারতে? ছাগল!’ তাঁর এহেন প্রতিক্রিয়ায় কথাবার্তা শুরু হয়েছে নানা মহলে।
এই বিষয় নিয়ে কী-খবরকে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক ডাঃ গর্গ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে পুঁজি শক্তির মাধ্যমে। বিহারে গিয়ে বাংলা গান বা পাঞ্জাবে গিয়ে এই ধরনের চাহিদার কথা কেউ মুখ ফুটেও বলতে পারবে? সোজাসুজি শত্রুর নাম আমরাও বলতে পারছি না। চাহিদা একটাই, বলিউডের দু’নম্বরি টাকায় তৈরি হওয়া ছবির। যেগুলি কেন্দ্র সরকার চাপিয়ে দেয়। বাংলা গায়ক-গায়িকারা ভাবছে হিন্দি গান গেয়ে, তেলিয়ে যদি নিজেদের বাজার রক্ষা করতে পারবে।’
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ‘বাংলা ভাষার প্রতি শিল্পীদের এই প্রতিক্রিয়ায় কী আশার আলো দেখছেন?’ প্রতিক্রিয়ায় গর্গবাবু জানান, ‘বাঙালির দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। এবার জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটছে। ঘূর্ণিঝড় উঠবে। আমরা রান-আপ নিচ্ছি। এই মোহতা, সুরিন্দর, ধনুকা- যেগুলো আছে, এদের নাম নিয়ে রানা সরকার কথা বলা শুরু করেছেন। মনোজ তিওয়ারির কত বড় সাহস। অচিন্ত্য সেউলিকে অভিনন্দন জানানোর সময় বাংলা লিখে ভারতের গর্ব লিখেছেন। বাঙালি সব দেখছে। বাংলা যে বহিরাগতদের করে খাওয়ার মৃগয়াক্ষেত্র আর থাকবে না তার আগমনী সঙ্গিত বাঙালি শুনতে শুরু করেছে।’