শ্রাবণী পাল: সেজে উঠছে বইমহল। আলিপুরদুয়ারের একটি স্কুলের শিক্ষক ডাঃ পার্থ সাহার উদ্যোগে ওই জেলায় প্রথম বইয়ের শপিং মল আসতে চলেছে। কী-খবরই প্রথম এই খবর ব্রেক করেছিল। বাংলা সাহিত্যে পিএইচডি করার সময় বারবার ছুটে যেতে হয়েছে কলকাতায়। সেইদিনের ইচ্ছেকে বাস্তব রূপ দিতে চলেছেন তিনি। ২০ জুলাই উদ্বোধনের সম্ভাবনা থাকলেও হয়নি।
বইমহল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন – এখানে
ধাপে ধাপে সেজে উঠছে বইমহলের একএকটি অংশ। সোপান পাবলিকেশনের বইয়ের মেলা র্যাকে। রয়েছে ‘চক্রান্তের আবর্তে নেতাজি’, ‘চট্টগ্রাম বিদ্রোহের কাহিনী’, ‘দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিঠিপত্র’, ‘মালদহ’, ‘প্যারীমোহন’, ‘প্যারীচাঁদ মিত্র রচনাবলী’, ‘বোড়ো ভাষার রূপরেখা’, ‘রবীন্দ্র উপন্যাস’, ‘ভাষা চর্চা’র একাধিক বই।





মাত্র ২৫ টাকার বিনিময়ে মিলবে ‘জনজাতির ভাষার মড়ক’। ‘পুরুলিয়ার নাচনি’ ৭০-এ, লোকসংগীতের অন্দরমহলে ইতিহাস-সংস্কৃতি বীক্ষণ ১৫০ টাকায়, ‘জলদাপাড়ার আদি মানুষ ও তাদের ভাষা’ (প্রকাশক মাতৃভাষা) মিলবে মাত্র ৮০ টাকার বিনিময়ে। ‘চার জনজাতির ইতিবৃত্ত’ (১০০ টাকায়), ‘ধনীরাম টোটার কথামালা’ (১০০ টাকা), ‘টোটোজাতির কথা’ (৮০ টাকা)। এই ধরনের আরও অনেক বই পাওয়া যাবে। শুধু উদ্বোধন হওয়া বাকি।




উদ্যোক্তা ডাঃ সাহা আগেই কী-খবরকে জানিয়েছেন, ‘উত্তরবঙ্গের মানুষকে বইয়ের চাহিদায় যেন কলকাতায় ছুটে যেতে না হয়। শিক্ষার এই দূরত্ব ঘোচাতে চেয়েছি। এছাড়াও যেটা দেখছি, যুব সমাজের মধ্যে বই পড়ার নেশাটা একদম কমে গিয়েছে। অভিভাবকদের বলব, বাচ্চাকে খেলনার সঙ্গে একটা বইও দিন। ওদের কল্পনা শক্তির বিকাশ ঘটবে। স্নাতকোত্তর বা পিএইচডির সময় মালদা পর্যন্ত খুঁজেও অনেক বই আমি পাইনি। কলকাতায় যেতে হয়েছে বারবার। সবার সেই সামর্থ্য নেই। সাহিত্য জগতের খোলা আকাশ তৈরি হচ্ছে উত্তরবঙ্গে।’