নিজস্ব সংবাদদাতা: মানবাধিকার সংগঠনটি এপিডিআরের ২৮ তম রাজ্য সম্মেলন বাতিল হয়ে গেল। এই সম্মেলন চলতি মাসের২৩ ও ২৪অক্টোবর টানা দু’দিন হওয়ার কথা ছিল। সভাস্থল ঠিক হয়েছিল হুগলি জেলার শেওড়াফুলি এলাকার গঙ্গার তীরবর্তী সুরেন্দ্রনাথ ইন্সটিটিউশনে ।
কিন্তু শুক্রবার চন্দন নগর কমিশনারেট এর পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, বর্তমান কভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যে জামায়েত সহ মিটিং মিছিল নিষিদ্ধ রয়েছে। তাই ওই সম্মেলনে এপিডিআরের বহু কর্মী এক জায়গায় জড়ো হবেন।
যা কোভিড পরিস্থিতিতে পুরোপুরি আইন বিরোধী। তাই পুলিশ মানবাধিকার সংগঠনের দু’দিনব্যাপী এই সম্মেলনের অনুমতি দিচ্ছে না। শেষ মুহূর্তে এসে চন্দননগর কমিশনারেটের প্রশাসন মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর এর সম্মেলন বাতিল করে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বন্দিমুক্তি কমিটি। একইসঙ্গে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মানবাধিকার সংগঠনের সভাপতি সুজাত ভদ্র, বন্দিমুক্তি কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছোটন দাস।
এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন শেষ মুহূর্তে সম্মেলন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশাসন এপিডিআর কে যে অসুবিধাও ক্ষতির সম্মুখিন করল তার দায়িত্ব রাজ্য সরকারকে নিতে হবে। বন্দিমুক্তি কমিটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যে উপনির্বাচন এর দরুন জমায়েত চলছে। বিজেপির মিটিং মিছিল চলছে পুরোদমে। শাসক দল সমাবেশ করে নির্বাচনী প্রচার করছে। অথচ মানবাধিকার সংগঠনের সম্মেলনে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট সামনে রেখে যেভাবে কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে তা স্রেফ ফ্যাসিস্ট নীতি।
এপিডিআর এর পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে গুলিচালনার ঘটনা নিয়ে যখন এই সংগঠন হাইকোর্টে মামলা করেছিল, তখন বিরোধী নেত্রীর কাছে খুব ভাল ছিল। কিন্তু শাসকের মসনদে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান বদলেছে। অথচ এপিডিআর এর অবস্থান বদলায়নি। তা এই সম্মেলন বাতিল থেকেই প্রমাণ হয়।
সংগঠনের পক্ষ থেকে রঞ্জিত শূর জানিয়েছেন, এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। সম্মেলন হুগলি জেলার বদলে অন্য কোথাও করা যায় কিনা সে ব্যাপারে তারা চিন্তাভাবনা করছেন। তবে সেক্ষেত্রে ও প্রশাসন যদি একই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাহলে তাদের কর্মসূচি করা কখনোই সম্ভব হবে না ।