নিজস্ব প্রতিবেদন: বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা সহ দেশের ১৩টি জায়গায় যৌথ অভিযান চালায় এনআইএ, ইডি, রাজ্য পুলিশ। একাধিক নথি উদ্ধারের পইথসংশ্লিষ্ট তদন্তকারী সংস্থা ও নিরাপত্তা সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক সারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আগাম পদক্ষেপ কী হতে পারে তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে।
২৯ আগস্ট উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অমিত শাহ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বেশ কিছু কট্টরপন্থী সংগঠনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার। সেই মতো দুর্নীতি দমনে দেশজুড়ে অভিযান চালাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। সঙ্গে রাজ্য পুলিশ ও ইডি। বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে পশ্চিমবঙ্গে তল্লাশি শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (পিএফআই) এবং সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অব ইন্ডিয়ার (এসডিপিআই) একাধিক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, দেড় শতকের ইতিহাসে এটাই বৃহত্তম সন্ত্রাস দমন অভিযান। তিলজলার পিএফআই দপ্তর থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর লিফলেট,টুপি,ব্যানার। সিবিআই, ইডি, এনআইএ এবং পুলিশ বিরোধী মন্তব্য লেখা। তদন্তকারী এজেন্সিগুলির ‘সন্ত্রাস’ বন্ধ করার বার্তা রয়েছে উদ্ধার হওয়া জিনিসগুলিতে। এছাড়াও ২৪ হাজার নগদ উদ্ধার হয়েছে।
আর পড়ুন: তিলজলার অফিস থেকে উদ্ধার একাধিক নথি, নগদ
নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের পিছনে পিএফআইয়ের ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। এসডিপিআই এবং আল হিন্দ-এর নাম উঠেছিল বেঙ্গালুরু সহ একাধিক গোষ্ঠী হিংসা ছড়ানোয়। এরপর থেকেই এই ধরনের গোষ্ঠী দমনে তৎপর হয়েছে কেন্দ্র। কলকাতার পার্ক সার্কাসে পিএফআই-এর একটি ডেরাতে হানা মেরেছে তদন্তকারী সংস্থা। অসম, মধ্যপ্রদেশ, পুডুচেরি, অসম, রাজস্থান, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক সহ একাধিক রাজ্যেও জোর কদমে চলছে তল্লাশি।