রাজস্থান রয়্যালসঃ ১৮৫ /১০ (২০) ওভার
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবঃ ১৮৩/৪ (২০) ওভার
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দিনের শুরুটা দেখে কিন্তু বোঝা যায়নি রাজস্থান রয়্যালস এতবড় একটা রানের টার্গেট খাড়া করবে প্রীতি জিন্টার দলের সামনে। কিন্তু বাস্তবে হল ঠিক উল্টো। জিততে হলে পাঞ্জাবকে ২০ ওভারে ১৮৬ রান করতে হত। কিন্তু না। পারলেন না পাঞ্জাব সৈনিকরা। জয়ের দোড়গোড়ায় এসেও শেষ পর্যন্ত মাত্র ৩ রানে ম্যাচ হারল প্রীতি জিন্টার দল।
ম্যাচের শুরুতে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাঞ্জাব অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। কিন্তু কি ভেবে যে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা দেখে কিছুটা হতবাকই হয়েছিলেন সকলে। শামি ও নবাগত ঈশাণ পোড়েলদের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছিলেন রাজস্থানের দুই ওপেনার ব্যাটসমান এডিন লুইস (৩৬) ও জয়সওয়াল (৪৯)। এরপর সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়েই পরবর্তীতে দুই ব্যাটসম্যান লিভিংস্টোন (১৭ বলে) ২৫ রান এবং লোমলরের ৪৩ রানের ইনিংসটিই রাজস্থান দলকে ১৮৫ রান করতে সাহায্য করে। এই ম্যাচে অভিষেক হয় বাংলার তরুণ বোলার ঈশাণ পোড়েলের। অভিষেক ম্যাচে চার ওভার বল করে ৩৯ রান দিয়ে একটি উইকেট ঝুলিতে পোড়েন চন্দননগরের এই ক্রিকেটারটি।

অন্যদিকে, ১৮৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে বেশ ভালোই এগোচ্ছিলেন কেএল রাহুল ও মায়াঙ্করা। একটা সময় সবাই যখন প্রায় ধরেই নিয়েছেন যে, মায়াঙ্ক আগরওয়াল আর লোকেশ রাহুল জুটি কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে ম্যাচ জিতিয়ে দেবেন, ঠিক তখনই ঘটল ছন্দপতন। ১১১ রানের পার্টনারশিপ গড়ার পর মায়াঙ্ক ও অধিনায়ক কেএল রাহুল প্যাভেলিয়নের পথ ধরেন। তারপর ক্রিজে আসেন নিকোলাস ও এইডেন। এই জুটি যোগ করেন ৫৭ রান।
শেষ ওভারে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ৪ রান। বল হাতে এলেন নবাগত কার্তিক ত্যাগী। এই ওভারেই ঘটল সেই মিরাক্কেল। এইজন্যই হয়তো ক্রিকেটকে বড় অনিশ্চয়তার খেলা বলা হয়। মাত্র দু রান দিয়ে দুটি উইকেট তুলে নিয়ে রাজস্থান রয়্যালসের হারা ম্যাচ জিতিয়ে দিলেন এই বোলার। প্যাভেলিয়নে বসে শামি-ঈশাণ পোড়েলরা দেখলেন ম্যাচ হারার দৃশ্যটা।