নিজস্ব সংবাদদাতা : নিষিদ্ধ সত্ত্বেও চিনা অ্যাপ টিকটকের ব্যবসা কেউ রুখতে পারেনি। আমি বলছি না , বলছে পরিসংখ্যান। ইউটিউব-নেটফ্লিক্সকে পিছনে ফেলে গোটা বিশ্বের মধ্যে ২০২০-র সর্বাধিক উপার্জনকারী অ্যাপের তকমা ছিনিয়ে নিয়েছে টিকটক।
৫৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মুনাফা করেছে টিকটক।এর পরেই আছে ডেটিং অ্যাপ টিন্ডার। যারা লাভ করেছে ৫১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনে ইউটিউব (৪৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার), চারে ডিজনি প্লাস (৩১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ও টেনসেন্ট ভিডিও (৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। দশে রয়েছে নেটফ্লিক্স (২০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। গতবছর ৮৫০ মিলিয়ন টিকটক ডাউনলোড হয়েছে। তারপরই হোয়াটসঅ্যাপ (৬০০ মিলিয়ন), ফেসবুক (৫৪০ মিলিয়ন), ইনস্টাগ্রাম (৫০৩ মিলিয়ন, ফেসবুক পরিবারেরই সদস্য)। পাঁচে জুম (৪৭৭ মিলিয়ন), অতিমারীর মধ্যে ভিডিও কলিং হয়ে উঠেছিল অন্যতম যোগাযোগের হাতিয়ার। জুমের জনপ্রিয়তা ছিল প্রশ্নাতীত। ছ’নম্বরে ফেসবুক মেসেঞ্জার (৪০৪ মিলিয়ন ডাউনলোড)।
অ্যাপ অ্যানালিটিকস ফার্ম ‘অ্যাপটোপিয়া’ এই রিপোর্ট দিয়েছে। কোম্পানির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই পরিসংখ্যান আইওএস ও গুগল প্লে মিলিয়ে। ব্যতিক্রম চিন, ওখানে শুধুই আইওএস প্ল্যাটফর্ম। এই পরিংসখ্যানের মধ্যে অ্যাপের ‘লাইট’ ভার্সনও রয়েছে।
“সর্বাধিক উপার্জনকারী ও ডাউনলোডেড অ্যাপ হিসাবে টিকটকের নামই থাকবে বলে প্রত্যাশিত ছিল। বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ভারতে টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার পর এমএক্স টাকাটাক, জোশ ভিডিওস ও এমওজি-র মতো সোশ্যাল শর্ট-ভিডিও মেকিং অ্যাপ বাজার করে। তবে তা টিকটকের জনপ্রিয়তায় পৌঁছাতে পারেনি।