33 C
Kolkata

Suvendu Adhikari: সংশোধনাগারের জমি নাকি ৪১৪ কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়েছে : বিস্ফোরক শুভেন্দু

আলিপুর সংশোধনাগারের জমি জলের দরে বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করলেও, তা খারিজ করে দিলেন ফিরহাদ হাকিম। বৃহস্পতিবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা দাবি করেছেন, রাজভবন নবান্নর থেকে আলিপুর সংশোধনাগারের জমি নিয়ে রিপোর্ট চাইবে। আলিপুর সংশোধনাগারের জমি একটি বেসরকারি সংস্থাকে সাকুল্যে ৪১৪ কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়েছে বলে বুধবার টুইট করেছিলেন শুভেন্দু।

শিয়ালদহ স্টেশনে বৃহস্পতিবার বিজেপির দলীয় কর্মসূচির পর তিনি বলেন, ‘জমির একটি অংশকে মিউজিয়াম করার অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু সেখানে বেসরকারি সংস্থাকে জমি বিক্রি করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার হাইকোর্টকে মিস-লিড করেছে। ফিরহাদ হাকিমকে আলাদা ভাবে জিজ্ঞেস করুন, তিনি বলবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেছিলেন বলে আমি বাধ্য হয়েছি জমি দিতে।’

যদিও ফিরহাদের বক্তব্য, ‘আলিপুর সংশোধনাগারের ভিতর কোনও প্লট বিক্রি করার বিষয় নেই। পুরোটা রাজ্য সরকারের নিজস্ব জমিতে এবং নিজস্ব উদ্যোগে করা হচ্ছে। মানুষ এখন মিউজিয়াম দেখতে যাচ্ছেন। আমি বিরোধী দলনেতাকে বলব, আপনি নিজে গিয়ে একদিন এই মিউজিয়াম ভিজিট করে আসুন। আপনার যে ভুল ধারণা হয়েছে, তা ভেঙে যাবে। আপনার মধ্যে প্রকৃত জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেম আগে ছিল, তা আবার জাগ্রত হবে।’

আরও পড়ুন:  Viral News: ‘দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে বলেই চরম সিদ্ধান্ত’, কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা বিজেন্দরের

শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্তত এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। সরকারের টাকা সরানো হয়েছে। রাজ্যপালের অফিস থেকে আমাকে বলা হয়েছে ১৮ তারিখ উনি রাজ্যে ফিরে সরকারের কাছ থেকে রিপোর্ট চাইবেন।’ রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘যে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা রাজ্যপালকে চিঠি লিখেছেন, তার সঙ্গে রাজ্য সরকারের তিন-চারটি দপ্তর সংশ্লিষ্ট আছে। আমি আমার দপ্তরের বিষয় বলতে পারি। কিন্তু অন্য দপ্তরগুলির বিষয়ে আমার পক্ষে কিছু বলা সম্ভব নয়। আমাকে খোঁজ নিতে হবে। এখনও আমি সব দপ্তরগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে উঠতে পারিনি। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহের পরই এ নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও মন্তব্য করতে পারব।’

আরও পড়ুন:  Hair care tips: গরমে খুশকির সমস্যা কমাবেন কীভাবে! রইল টিপস

শাসকদলকে ইলেকটোরাল বন্ড দিয়েছে বলে দাবি করে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, ‘এই গেরোয় ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিস সেন আটকে যাবেন। গোটা মন্ত্রিসভা আটকে যাবে।’ শুভেন্দুকে পাল্টা তীব্র আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘কাঁথিতে কারা শ্মশানের জমি বেচে দিল, কে ত্রিপল চুরি করল, সেগুলিও রাজ্যপালকে জানান। রাজ্যের বিরুদ্ধে কুৎসা না করে কেন্দ্রীয় সরকার ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে সেন্ট্রাল ভিস্তা কেন করছে, তার জবাব দিক।’

Featured article

%d bloggers like this: