নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘ সত্যমেব জয়তে সত্যের জয় হয়েছে ‘। মঙ্গলকোটে রাজনৈতিক হিংসার মামলা থেকে বেকসুর খালাস করা হলো অনুব্রত মণ্ডলকে । তারপরেই বিধায়ক সাংসদ আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীর মুখে শোনা যায় এই কথা । তিনি বলেন,’ আসলে আমার মক্কেলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছিল । ওর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছিল তা থেকে এবার মুক্তি দেওয়া হলো । ‘ এদিন আদালতে সাতক্ষীরা সাক্ষী দিয়েছিলেন এবং সমস্ত তথ্য প্রমাণ আদালতে পেশ করা হয়েছিল সবকিছুর ভিত্তিতেই এদিন বিধায়ক সংসদ আদালতে অনুব্রত সহ বাকি ১৪ জনকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়।
এক যুগ আগে মঙ্গলকোট ওর কেতুগ্রামের রাজনৈতিক একটি ঝামেলার পরিস্থিতির মাঝে ঘটে যায় এক হিংসার ঘটনা । গ্রামে বোমাবাজি চলে পরিস্থিতি টালমাটাল হয়ে যায় । সেই সময় ওই গ্রামের এক সিপিএম কর্মীর হাত উড়ে যায় । সেদিনের ওই বোমাবাজির ঘটনায় মূল অভিযোগের তালিকায় ছিল অনুব্রত মণ্ডলের নাম । প্রথমে এই মামলা কাটোয়া আদালতে বিচারাধীন ছিল । পরে তা বিধায়ক সংসদ আদালতে পাঠানো হয়। এরপর কয়লা সেপ্টেম্বর সেখানে হাজিরা দেন অনুব্রত মণ্ডল সহ বাকি ১৪ জন অভিযুক্ত। এদিন সবকিছু খতিয়ে দেখে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয় অনুব্রত সহ মোট ১৫ জন অভিযুক্তকে।
উল্লেখ্য, এই দিনেই আবার আসানসোল থেকে কলকাতায় আসার সময় অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘ সারা জীবন জেলে কেউ থাকেনা কখনো না কখনো ছাড়া পায় আমিও নিশ্চয়ই ছাড়া পাব। দিদি পাশে আছে এটাই এনাফ !