29 C
Kolkata

Marriage in Custody: জেলবন্দি প্রেমিক প্রেমিকারা কি চাইলে বিয়ে করতে পারেন ?

প্রিয়া বিরহে গরাদ পারে তো শুধুই শৈত্যের অন্ধকার। যক্ষের তবু মেঘদূত ছিল, কিন্তু সংশোধনাগারে প্রেয়সীর খবর আনা মেঘপিওন কই ? সপ্তাহ পেরিয়ে মাস কিংবা কয়েক মাস পর শুনানির দিন হঠাৎ দেখায় গরাদ পারেও প্রেমের মরশুম। চার চোখের নীরব মিলন কিংবা সরব এজলাসে আরোপ দোষারোপের মাঝেই দু-এক লাইন কথা চালাচালি। কনে দেখা গোধূলি আলোয় দুটো মন তখন আশ মিটিয়ে জমা করে মুহূর্তের কাছে ঋণী থাকা মুহূর্তগুলো। পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত সেগুলোই তো মণিমুক্তো। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক ‘প্রেমালাপ’-ও তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

একই অপরাধে অভিযুক্ত জেলবন্দি প্রেমিক যুগল বা সাজাপ্রাপ্ত কপোত কপোতীদের সম্পর্কের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় জেলের গরাদ। একই অপরাধে একই সাজা ভুগলেও প্রেমিকার ঠিকানা হয় মহিলা সংশোধনাগার আর প্রেমিক থাকে পুরুষ সংশোধনাগারের গরাদের ওপারে।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় হয়তো একসঙ্গে থাকার উদ্দেশে প্রেমের পথের কাঁটা সরাতে গিয়ে হয়তো দুজনে করে ফেলছে কোনও এক ভয়ানক কাণ্ড। কিংবা কোনও অপরাধের গোলোকধাঁধায় অন্ধকারের পথের সঙ্গী হয়েই শুরু হয়েছিল ঘনিষ্ঠতা। প্রেক্ষাপট যাই হোক গ্রেফতার হলেই বিচ্ছেদ। কিন্তু জেলে অন্ধকার সেলে ভাত-রুটি ডাল পেলেও যে ‘পিয়া বিনা দিল লাগে না…।’ প্রশ্ন উঠছে, এমন অল্প স্বল্প প্রেমের গল্পগুলো যদি জেলবন্দি অবস্থাতেই বিয়ের সিলমোহর চায় সেক্ষেত্রে কী উপায়?

আরও পড়ুন:  Travel : মাত্র কয়েকদিনের ছুটিতেই বেড়িয়ে আসুন কলকাতার কাছে ঋষি বাল্মিকীর আশ্রম থেকে !

জেলের কর্তারা বলছেন, The West Bengal Jail Code-এর ভলিউম-১ এবং ভলিউম-২ এ এরকম ক্ষেত্রে কী করণীয় তার কোনও উল্লেখ নেই। ফলে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবাসিকরা আবেদন নিয়ে এলেও লাভ বিশেষ হবে না। তবে পরামর্শ অবশ্যই দিতে পারেন। রাজ্যের একটি সংশোধনাগারের এক কর্তা বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের ক্ষেত্রে বিষয়টা কিছু সহজ হয়। কারণ, প্যারোলে মুক্তির আবেদন জানিয়ে তিনি বিয়ে সারতে পারেন। বিচারাধীন বন্দির ক্ষেত্রে অনেকে আদালত চত্বরে বিয়ে করেন, এমন বহু নজির রয়েছে। তবে চাইলে আইনজীবীর মাধ্যমে বিষয়টি আদালতের নজরে এনেও সুরাহা পাওয়া যেতে পারে।

এছাড়াও তাঁর কথায়, ‘আদালত চাইলে দু’ধরনের বন্দিদের ক্ষেত্রেই এমার্জেন্সি প্যারোলের সংস্থান রয়েছে। সেক্ষেত্রে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিয়ে করতে পারে। সাধারণত নিকট আত্মীয়ের মৃত্যু বা জরুরি ক্ষেত্রে এমন হয়ে থাকে। তবে তা যে বিয়ের ক্ষেত্রে হবে না তা বলা নেই।’ তবে ওই কর্তার সহাস্য মন্তব্য, ‘সমস্ত ঝামেলা এড়িয়ে আদালত চত্বরে সিঁদুরদান-মালাবদল করে ফেলা যেতে পারে।’

আরও পড়ুন:  Ac instructions : এই প্রচন্ড গরমে কোন মোডে এসি চালালে হুড়মুড়িয়ে ঘর ঠাণ্ডা হবে ? রইল টিপস

আত্মসমর্পণের পর জেলে মাওবাদী দম্পতির বিয়ের উদাহরণ রয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে জেলার পুলিশ সুপারদের একটা বড় ভূমিকা ছিল। তাদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি অনেক সহজ হয়ে যায়। তবে অন্যান্য কেসে প্রেমিক-প্রেমিকাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু জটিল হলেও অসম্ভব নয়। ততদিন পর্যন্ত শুনানির ক্ষণিক দেখাতেই আসুক, ‘ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত।’

Featured article

%d bloggers like this: