নিজস্ব সংবাদদাতা: পুজো দরজায় কড়া নাড়ছে! তাই চটপট সেরে নিন পুজোর বাজার। পুজোতে তো একদম সাবেকিয়ানা হয়ে নানা রকম শাড়িতে নিজেকে চিনবেন ? কিন্তু এবার যদি একটু হালকা সাজে নিজেকে সাজিয়ে তোলে মন্দ হয় না কিন্তু হালকা সাজ এর মধ্যে নানা রকমের কারুকার্য করা বেশ কয়েকটি জিনিসপত্র রয়েছে। পুজো মানেই যে জাঁকজমক শাড়ি পাঞ্জাবি পরা এমনটা কিন্তু নয়। পুজোতেও হালকা সাজে নিজেকে সাজানো যেতে পারে। কাঁথাস্টিচ এই ক্ষেত্রে অনবদ্য কাজ করবে আপনি যদি হালকা অথচ এক্সপেন্সিভ কিছু পড়তে চান। কিংবা নিজেকে সমাজে স্ট্যান্ডার্ড দেখাতে চান তাহলে আপনার লিস্ট থেকে কাঁথাস্টিচ কখনোই বাদ যাবেনা । কিন্তু জানেন কি এই কাঁথা স্টিচ কিভাবে নিজের রূপ বদল করেছে??
কাঁথা স্টিচ এর রূপ বদল
বারো হাতের জাদুতেই কাঁথার নকশা সবচেয়ে বেশি খোলে। এই ধারণা বঙ্গসমাজে সর্বত্র। এমন শিল্পকে কি শুধু একটা গন্ডিতে আটকে রাখা যায় নাকি? রাখা উচিৎ ও নয় ! শুধুই শাড়ির কবলে থাকলে বিদেশ পর্যন্ত তার মহিমা ছড়াবে কিকরে? তাই খানিকটা সময় তাগিদে আর খানিকটা প্রয়োজনেই কাথারকাজকে অন্যত্র নিয়ে গেলে কারিগররা। আজ তাই আমরা শাড়িতে নেই বরং কুর্তি পাঞ্জাবিতে আছি ।
এই প্রসঙ্গে দক্ষিণাপন ইন্ডিয়ার তরফে অশোকবাবু জানান যে নয় দশকের মাঝামাঝি থেকে শেষ নাগাদ চলটা শুরু হয়েছিল পাঞ্জাবিতে। প্রথমদিকে সালোয়ার-কামিজের কাটপিসে ক্রমশ তার কাছে হাতে বা কামিজের নিচে অংশে ঠাঁই পেল তাই যে কামিজের নিচের অংশে। কাঁথার নকশা তা কিন্তু অনেকটাই অবাঙালি ধাঁচে তৈরি অর্থাৎ বাঙালি স্টাইলে কামিজের নিচে বাধা মানে কারুকার্যের রেওয়াজ রয়েছে পরবর্তীতে বাঙালি মেয়েরাও সেই স্টাইলের অনুকরণে কামিজের নিচের দিকে ভরাট করা কাজ শুরু করলে কামিজের নিচের দিকে কাঁথা কাজের কদরও তখন থেকেই বাড়তে লাগল । এছাড়া আবার ভরাট কাজের নকশা ছাড়াও রোজকার ব্যবহারের জন্য হালকা কাজ মনে ধরল মহিলা মহলে তখন থেকেই গলার কাছে কাঁথাটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তখন ও শিল্প বা তসর ছড়িয়ে শুরুতেই পর্যন্ত পৌঁছায়নি। কাঁথার নকশা কিন্তু ক্রমশ দেখা গেল আমাদের মত গ্রীষ্মপ্রধান দেশের জন্য সুতির কাপড় শ্রেষ্ঠ। অশ্লীল ছেড়ে এবার কাঁথা ঠাঁই পেল সুতিতে।