29 C
Kolkata

Tea Or Coffee:চা নাকি কফি !কোনটির স্বাস্থ্যগুণ বেশি

নিজস্ব সংবাদদাতা:আমরা সবাই এটা ভালো করেই জানি যে কফির থেকে কিন্তু চায়ের জনপ্রিয়তা বেশি। তবে ইদানিং অনেকেই কফি খেতেও ভালোবাসেন। শীতে কিন্তু চায়ের থেকে বেশি কফি খেতে ভালো লাগে। তাহলে কোনটির স্বাস্থ্য গুণ বেশি? এই নিয়ে একটু দ্বন্দ্ব থেকেই যায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন লিকার চা খেলে যেমন নানা উপকার মেলে, তেমনই দিনে দু’ কাপ কফি খেলেও শরীর এবং মস্তিষ্ক চাঙ্গা থাকে। তবুও কিছু পার্থক্য রয়েছে।

শরীর উষ্ণ রাখতে কার্যকর বলে শীত ও বৃষ্টির দিনগুলোতে চা বেশ চমৎকার। পাশাপাশি এতে থাকে ‘পলিফেনল্স’ নামক একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট,যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ‘পলিফেনল্স’ শরীরে রাসায়নিক উপাদানকে ঢুকতে বাধা দেয়। এছাড়াও ‘প্লাক’ তৈরি করে এমন ব্যাকটেরিয়ার ‍বিরুদ্ধে লড়তে, হাড় শক্তিশালী করতে এবং জরায়ু ক্যান্সাসের বিরুদ্ধে লড়তে এই উপাদান কার্যকর।এসব বিষয় ছাড়াও ব্ল্যাক টি’তে থাকে ‘অ্যালকাইলামাইন অ্যান্টিজেন’এবং ট্যানিস’। এই উপাদানগুলোও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং অন্ত্র শক্তিশালী করে। আর ‘ক্যাফেইন’য়ের মাত্রা দিক থেকে চিন্তা করলে কফির তুলনায় চায়ে ‘ক্যাফেইন’য়ের মাত্রা কম, প্রায় অর্ধেক।

শরীরচর্চার সঙ্গে জড়িতদের মাঝে কফি বেশ জনপ্রিয়। যদিও অনেকসময় একে অস্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবেও গন্য করা হয়। তবে কফিতেও উপকারের কমতি নেই। সকাল বেলা কফি পান করার সঙ্গে আয়ু বাড়ার সম্পর্ক রয়েছে। লাল চায়ের মতো এতেও থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, এছাড়াও আছে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম।কফির কিছু বাড়তি গুণের মধ্যে আছে। পারকিন’স ডিজিস, বেসাল সেল কারসিনোমা, আলৎঝাইমার’স, ডায়াবেটিস ইত্যাদি বিভিন্ন রোগ থেকে সুরক্ষা দেয় নারী-পুরুষ দুজনকেই। এছাড়াও পুরুষের প্রোস্টেট ক্যান্সার এবং নারীদের ‘এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার’য়ের হাত থেকে বাঁচায়।

দুটোরই আছে উপকারী গুণ। প্রধান পার্থক্যটা হল ‘ক্যাফেইন’য়ের মাত্রা। প্রতি লিটারের চারভাগের একভাগ কফিতে ৮০ থেকে ৯০ মি.লি. গ্রাম ‘ক্যাফেইন’ থাকে। আর চায়ে থাকে প্রায় অর্ধেক, ৪০ থেকে ৪৫ মি.লি. গ্রাম।তাই ঘুম থেকে উঠে যদি শরীর-মন চাঙা করতে চান তবে বেছে নিতে পারেন কফি। তবে দিনের সাময়িক ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলার জন্য চা-ই যথেষ্ট।

আরও পড়ুন:  Health tips:কোন কোন খাবার খেলে বাড়বে মেটাবোলিজম রেট ! রইল টিপস

Featured article

%d bloggers like this: