নিজস্ব প্রতিবেদন: বিভিন্ন সময় একাধিক আশা নিয়ে ভক্তরা বুক বাঁধে। আর সেই আশা পূরণের জন্য সকলেই ছুটে ছুটে যায় মন্দিরে। সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি হেলানো শিব মন্দিরও। ভক্তরা মনে করে এই মন্দিরে পুজো দিলে পূরণ হয় সমস্ত মনের আশা। মাঝে মাঝেই টুরিস্টরা ঢু মারে বেনারসের উদ্দেশ্যে। সেখানে যাওয়ার মূল উদ্দেশ্যই থাকে হেলানো শিব মন্দির। যদি যেতেই চান এই মন্দিরে সেক্ষেত্রে এক রাত লখনৌ ও এক রাত দুধওয়ার জঙ্গলে কাটিয়ে লখনৌ থেকে রাতের কাশী বিশ্বনাথ এক্সপ্রেস ধরে পৌঁছতে পারেন বেনারস। সেখানে রয়েছে কাশীরাজ কালী মন্দির।

প্রায় দুশো বছর পুরোনো এই মন্দির তৎকালীন কাশী নরেশ নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় স্থানীয়রা এই মন্দিরের সঠিক দিক নির্দেশ দিতে ব্যর্থ। বড়ে মহাদেব মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে রাস্তার উল্টো একটি অসামান্য পাথরের কারুকাজ সম্বলিত প্রবেশ দ্বার দেখে অবাক হয়ে যাবেন। প্রবেশ পথের উপরে বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংয়ের মাঝে হিন্দিতে লেখা কাশীরাজ কালী মন্দির। বাইরে থেকে দেখলে মন্দিরের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায় না। দরজা দিয়ে প্রবেশ করে সামনেই একটি ধোপধুরস্ত কাফে। মন্দির তখন ও আড়ালে। কাফের কাছে গিয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে মন্দিরের দেখা মিলবে। মন্দিরের খিলানে অপূর্ব কারুকাজ।পাশেই একটি ছোট শিব মন্দির।

জনশ্রুতি এটি কাশীর রাজার ব্যক্তিগত উপাসনালয়। বহিরাগত আক্রমণকারীদের হাত থেকে আরাধ্য দেবতাকে সুরক্ষিত রাখতে রাজা এই অসাধারণ মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন। অর্থাৎ এই মন্দিরটি শত্রুর চোখকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য তৈরী করা হয়েছিল। এবং সেই কাজে যে তিনি সফল হয়েছিলেন সেটা পর্যটকদের ভিড় বিহীন মন্দিরের শান্ত পরিবেশ দেখলেই আন্দাজ করা যায়।গোধূলিয়া মোড় থেকে বিশ্বনাথ মন্দিরের চার নম্বর গেটের দিকে যাওয়ার রাস্তার পাশে অবস্থিত এই মন্দিরটি অবশ্যই দর্শন করবেন। কথিত আছে শুম্ভ নিশুম্ভকে বধ করে দেবী দুর্গা তাঁর তরবারী অর্থাৎ অসি এই নদীতে বিসর্জন দিয়েছিলেন।স্কন্ধ পুরাণ অনুসারে মহাদেবের নির্দেশে সূর্যদেব এই কুণ্ডে আশ্রয় নেন। কুণ্ডের পাশেই শিব মন্দিরে পুণ্যার্থীদের ভিড়।লোলার্ক কুন্ড দেখে দশাশ্বমেধ ঘাটে যখন পৌঁছলাম তখন গঙ্গা আরতির আয়োজন চলে।