নিজস্ব প্রতিবেদন: বিভিন্ন ধরনের ফলের মধ্যে কলার দাম এখনও সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে। যদি প্রায়ই কলা খাওয়া হয় তাহলে অবশ্যই আপনার জানা উচিত কলার সুতার মতো অংশটি খেলে শরীরে কী ঘটে?পুষ্টিবিদরা বলছেন, কলার পুষ্টিগুণ এত বেশি যে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে এ ফলের বিকল্প খুঁজে পাওয়া যাবে না। নিয়মিত একটি কলা খাওয়ার অভ্যাস অনেক দুরারোগ্য রোগ থেকে দূরে রাখে।একটি কলা শরীরের নিস্তেজভাব মুহূর্তের মধ্যেই দূর করতে সক্ষম। শারীরিক দুর্বলতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে গ্যাস, হজমে সমস্যার দারুণ সমাধান হতে পারে কলা।

এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। তাই যারা ওজন কমাতে চান, তারা হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিতে পারেন হলুদ এ ফল। কারণ একটি কলা খাওয়ার পর পেট ভরে যাওয়ার অনুভূতি হয়, যা অন্য কোনো খাবার গ্রহণ করা থেকে আপনাকে সহজেই বিরত রাখতে পারবে।এছাড়া রক্তস্বল্পতা দূর করতে, হাড়কে মজবুত করে তুলতে, হবু মা ও নতুন শিশুর সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে পারে এ কলা। একটি কলা সারা দিনের মানসিক উদ্বেগকে এক নিমিষেই দূর করতে পারে। পটাশিয়ামসমৃদ্ধ কলার রয়েছে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা।
কলাতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ফ্রি রেডিক্যাল থেকে ত্বককে রক্ষা করে তেমনি কলায় উপস্থিত ডোপামিন দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ হটায়। তাই কলাকে স্ট্রেস বাস্টার বলা হয়।কলা নিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি এবার জানুন। কলায় লেগে থাকা সুতার মতো অংশটি নিশ্চয়ই চিনেন? এটি মূলত কলার এক ধরনের টিস্যু, যার নাম ফ্লোয়েম বান্ডেল।

খোসা ছাড়ানোর পর কলায় ফ্লোয়েম বান্ডেল লেগে থাকতে প্রায়ই দেখা যায়। অনেকে এ টিস্যু খেয়ে ফেলেন, আবার অনেকে খান না। কিন্তু আপনি কি জানেন, এটি সুস্বাদু না হলেও খাওয়া কতটা জরুরি?কলার এ অংশটি খাওয়া শুধু নিরাপদই নয়, স্বাস্থ্যকরও। যুক্তরাষ্ট্রের নিউট্রিশন রিসার্চের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. নিকোলাস ডি গিলিট আমেরিকার গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, কলার ফ্লোয়েম বান্ডেল অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর একটি খাবার।তিনি আরও বলেন, এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফাইবার। তাই একটি পুরো কলার চেয়ে ফ্লোয়েম বান্ডেলেই সব পুষ্টিগুণ লুকিয়ে থাকে বলে তিনি মনে করেন। এটি শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান দিয়ে থাকে। ফ্লোয়েম বান্ডেল খেতে উৎসাহিত করলেও মনে রাখবেন, ডা. গিলিট কিন্তু কলার খোসা খাওয়ার জন্য উৎসাহিত করছেন না।