নিজস্ব প্রতিবেদন: বাঙালি মানেই তাদের ছুটির দিনগুলোতে চাই রাজকীয় খাবারের সম্ভার। আর সেই খাওয়ারের পাতে যদি মিষ্টি না থাকে তাহলে তো চলেই না। কিন্তু সব সময় কি দোকান থেকে মিষ্টি খাওয়া উচিত? একেবারেই না। তাই মিষ্টিমুখ করুন এবার বাড়িতে বানানো বালুসাই দিয়ে।

বালুসাই খেতে যেমন ভালো তেমনই খুব তাড়াতাড়ি বানিয়ে ফেলা যায় এই রেসিপি। বালুসাই বানাতে নিয়ে নিন দেড় কাপ ময়দা,১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা,৬ টেবিল চামচ ঘি,৫ টেবিল চামচ টকদই ( ঠান্ডা ),দেড় কাপ চিনি,দেড় কাপ জল,তেল,মাওয়া,২ চা চামচ লেবু, বালুসাই বানানোর জন্য প্রথমে সিরা বানাতে হবে। সিরা বানানোর জন্য একটি পাত্রে চিনি জল নিয়ে মিডিয়াম হাই আঁচে জ্বাল দিয়ে নিন। চিনি গলে সিরাতে একটা বলোক এসে গেলে আঁচ কমিয়ে মিডিয়াম করে দিন ঠিক ৮ মিনিট জ্বাল দিয়ে নিন। হয়ে গেলে লেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে নিন যাতে সিরা বেশি ঘন হয়ে জমাট না বেঁধে যায়। কুসুম গরম অবস্থায় ব্যবহার করতে হবে এটি।

এরপর একটি পাত্রে ময়দার সাথে বেকিং পাউডার মিশিয়ে ঘি দিয়ে ভালো করে ডলে ডলে নিন। তারপর ফ্রিজ থেকে বের করা ঠান্ডা টকদই দিয়ে খুবই আলতো হাতে একটা খামির মেখে নিন। খামিরটা বেশ এলোমেলো বা অসমান মতো হবে, স্মুদ খামির করার জন্য চেপে চেপে বা ঠেসে মাখানো যাবে না। তাহলে বালুসাইয়ের ভেতরটা ফাঁপালো হবে না আর সিরাটাও ঠিকমতো ঢুকবে না। তারপর ভেজা নিংড়ানো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন ২০ মিনিটের জন্য। এরপর একটু নরম হয়ে এলে তখন বাটির মধ্যেই বা টেবিলের উপর রেখে আলতো হাতে চেপে চেপে একটু ছড়িয়ে একটি কাটারের সাহায্যে ২ ভাগে কেটে নিয়ে একটির ওপর আরেক টি রেখে আবারো আলতো করে চেপে ছড়িয়ে নিতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি চার-পাঁচবার করতে হবে তাতে বালুসাইয়ের ভেতরে সুন্দর স্তর বা ভাঁজ তৈরি হবে। এবার এই খামিরটাকে ছুরি দিয়ে কেটে বা হাতে ছিঁড়ে সমান ২০ ভাগে ভাগ করে নিন। প্রতিটি ভাগকে দুই হাতের তালু সাহায্যে চ্যাপ্টা গোল পেরা করে গড়ে নিন। তার প্রতিটি পেরার মাঝখানে গর্ত করে নিন। এরপর নিম্ন মাঝারি আঁচে কড়াইতে তেল হালকা গরম করে ডুবো তেলে প্রতিটি বালুশাই গাঢ় সোনালী করে ভেজে নিন। ৭/৮ মিনিট পরে পেরাগুলো তেলের উপর ভেসে উঠলে একপিঠ সোনালী হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিন তারপর উল্টে অন্যপিঠও একইরকম করে ভেজে নিন। ভাজা হলে তুলে কুসুম গরম সিরাতে ৬ থেকে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে তুলে নিন। তারপর এভাবেই বা মাওয়া তে গড়িয়ে পরিবেশন করুন মজাদার বালুসাই মিষ্টি। বানানোর মোটামুটি ৪/৫ ঘন্টা পর থেকে স্বাদ আসতে থাকে।