নিজস্ব প্রতিবেদন: জন্মান্তরবাদ এই শব্দটা কম বেশি সকলেই শুনেছেন। জন্মান্তর শব্দটির অর্থ হল পুনঃ জন্মগ্রহণ করা। বলা হয়ে থাকে জন্মান্তর এটি অব্যয়ীভা সমাজ। তবে, জ্যোতিষ শাস্ত্রে এই জন্মাতর বিষয়টির ভূমিকা অতীব গুরুত্বপূর্ণ কারণ কানটানলে মাথা আসে। তাই জ্যোতিষের মানবজীবনের প্রসঙ্গ তুললে তা আসে প্রারম্ভ কর্ম যা জন্মাতরের ভূমিকা আছে। তাই বলতে হয় যে সেখানে জন্মান্তর ও জ্যোতিষের ক্ষমতার বিচার করতে হয়। আসলে যদি কোনও মাছ জালে ওঠে তাহলে মাছের মধ্যে কাটাও উটবে,এটি ওতপ্রোতভাবে সম্পর্কযুক্ত।

জ্যোতিষ শাস্ত্র বলছে তাই ঋষিগণ যখন তপস্যা করে আধ্যাত্মিক শক্তি বলে জ্যোতিষের সত্য মানবজীবনে ঈশ্বর বা নিয়তির সম্পর্ক জানতে গিয়ে মানুষের মন ওষুধের গ্রহণস্থর পর্যন্ত নিয়েছিলেন আর সেখানে সমাজের সন্ধান পেয়েছিলেন যা মানব জীবনের অপরিহার্য্য বিষয়। কারণ পরবর্তীকালে অবচেতন ‘মন’ বা বিবিধ ঘটনা মনোবিদগণ আলোচনা করেছিলেন তা বহুপূর্বে মুনিগণ আবিষ্কার করেছিলেন। তাহলে তাঁরাও আমাদের বিজ্ঞান-সাধনার ধারক-বাহক হিসাবে পরিগণিত। জ্যোতিষের ধারক ঋষি পরস্পরকে বলেছিলেন পূর্ব-পূর্ব জন্মকর্মফলম্ ইহজীবনে গ্রহ রূপেন সংহিতা। তার অর্থ পূর্ব কাজের কর্মফল গ্রহরূপে এই জন্ম এসেছে। এবারে পুরান, রামায়ন ও মহাভারত থেকে উদাহরণ দেওয়া যাক এই জাতীয় ঘটনার বহু উদাহরণ মুনিঋষি বা দেবতাদের কাছে প্রমাণ আছে। যেমন “শিবমহাপুরাণ”। আর দেবীর মহিমা কেন্দ্রিক পুরান গুলিতে পাওয়া যায় যেমন মাদূর্গার অবতার ছিলেন সতী।

আর সতী যখন স্বামীর নিন্দায় দেহত্যাগ করে থাকেন তখন তাঁর দেহ বিষ্ণু সুদর্শন চক্র দ্বারা খণ্ডবিখণ্ড করে দেন সেখানে পতিত হয়ে থাকে সেখানে পীঠস্থান হলো। তবে সেই সতী আবার হিমালয়ের কন্যা হয়ে এসেছিলেন শিবের সাথে বিবাহ করার জন্য। শিবের সাথেই বিবাহ হয়েছিল। একে বলে যে পূর্বজন্মের সাথে পরবর্তী জন্মের ঘটনার যোগসূত্র থাকে এই ঘটনাই প্রমাণ করে থাকে । শিবের প্রতি পার্বতীর ভালবাসা পূর্ব হতেই ছিল। শিবও পার্বতীকে দেখে চিনতে পেরেছিলেন উনি পূর্বজন্মের সতী। এছাড়া চণ্ডীতে ও আছে যে সুরথ ও সারথী যখন রাজ্য ফিরে পেয়েছিলেন সুরথ রাজা আর বৈশ সমাধি জ্ঞান লাভের প্রার্থনা জানালেন যেখানে পরবর্তী জন্মে মনু হয়ে জন্ম নিলেন। আবার গীতাতে বিষ্ণুর অবতার ও বলা হয়ে থাকে মানুকে ৷ রামায়ন ও মহাভারতে ও জন্মান্তর বাদের উল্লেখ আছে । যেমন দশরখ ও পূর্বজীবনে তপস্যা করেছিলেন কারন এই জন্মে তাঁর ঘরে বিষ্ণু চলে হয়ে এসেছিলেন। এই পূর্ব জন্মর কর্মফল। তাছাড়া শুধু মানুষকে নয় অবরতারকেও জনম নিতে হয়। দশরথের গৃহে বিষ্ণু রামাবতার হয়ে জন্ম নিয়েছিলেন। কারণ বিষ্ণুকে নিয়ে রচিত পুরাণ হল ‘বিষ্ণুপুরাণ”। যার মধ্যে বিষ্ণুর অবতারের কথা আছে। আর বিষ্ণুকে বার বার ধরাধামে অবিভূত হতে হয়েছিল। তবে জন্মনেবার উদ্দেশ্য শ্রীকৃষ্ণ “গীতা” তে বলেছিলাম। ‘পরিত্রানায় সাধুনং বিনাশয়চ দুস্কৃতম ধর্মসংস্থাপনা যায় সম্ভাবামী যুগে যুগে” অর্থাৎ সাধুদের ত্রান দুষ্কৃতির বিনাশ ও ধর্মসংস্থাপনের জন্য তাঁর আগমন হয়ে থাকে। বিষ্ণুর দশ অতবার বলা হলেও ভাগবতে বিষ্ণুর ২৬ টি অবতারের কথা বলা হয়েছে। যেমন কৈকেয়ীর দাসী মন্থরা পূর্বজন্ম অপ্সরা ছিল, এক মুনির শাপে তিনি এই জন্ম প্রাপ্ত হয়ে ছিলন। যেমন রাবন ও কুম্ভকর্ণ ও ছিলেন জয়-বিজয় যিনি একজন্ম হিরনাষৎ, হিরণ্যকমিপুহয়ে জন্মগ্রহণ করেছিনে, আবার দেখা যায় যে পরবর্তী দাপরযুগে শিশুপাল ও শামধ হয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। যাইহোক এনারা ছিলেন জয়, বিজয় যাঁরা বিষ্ণুর দরজা পাহাড়ঙ্গিত আর ব্রাশনের শাপে এইজন্ম প্রাপ্ত হয়ে ছিলেন। নাকিরাম যখন বালিকে বধ করতে গিয়েছিলেন তখন বালির ছেলে অঙ্গ মারতে গিয়েছিলেন আর সেই অঙ্গকে বলেছিলেন যে এই জনম নয় আগামী জন্ম হবে।

সেই কথাই রাম রেখেছিলেন। মহাভারতের কাহিনীর প্রসঙ্গে আলোকপাত করা যাক এখানে জন্মান্তরের উল্লেখ আছে যেমন পুরুতে জন্মন্তের ছেলে করতের কাহিনীর উল্লেখ করা যাক। যিনি হরিনের চিন্তা করতে হরিন হয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আর পরের জন্মে জীন্ন মানসিকতার জন্য জড়ভরত। অষ্টবসুগণ বশিষ্টের অভিশাপে মানব জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আর বসুরা ভাগ্য চেতনা মুক্তিপেলেও অষ্টম বসু ভীম হয়ে রইলেন। এও জন্ম একরম জনআভরবাদের নিদর্শন হিসাবে পারিগণিত। আবার মামুনির শাপে ধর্মদেবতাকে মানুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করতে হয় জন্মান্তর। এরপরও অবতারবাদের প্রসঙ্গ আলোকপাত করাযাক ভগবান বিষ্ণু বাবার বুকে আবার এলেন শ্রীকৃষ্ণাবতার হয়ে। এখানেও জন্মান্তরের কাহিনী আছে। যেমন জন্মগ্রহণ কালে বলেছিলেন একজন জন্মভরের সম্পর্ক। বলরাম ছিলেন পূর্বজন্ম লক্ষন। একবার বলরামকে ক্ষীরোদাসাগারে নিয়ে গিয়ে তিনি পূর্বজীবনের কাহিনী তাঁর সরুম, স্মরণ করিয়ে ছিলেন। হও পূর্বজন্মের স্মরণ করায়। একবার হনুমানও ‘স্মরণ কবে যে ছিলেন আরো বলা যায় যে অজুর্নকে তিনি বলতেন নর ঋষি। কারণ নারায়নের সে দুই অতবার নর, নারায়নই শ্রীকৃষ্ণ-অর্জুন রুপে এসেছিলেন এজন্মে এও পূর্বজন্মের টান হিসাবে পরগিণতি। তাই মনে করা হয় এজন্য যদি আপনি কোন ভাল কাজ করেন পরের জন্মে তাহলে আপনিও ভালো মানুষ হয়ে ভূমিষ্ঠ হতে পারেন।