নিজস্ব সংবাদদাতা : এবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউটিউব চ্যানেলও সাফ জানিয়ে দিল, প্রাইভেসি পলিসি মেনে চলেননি ট্রাম্প। সম্প্রতি তাঁর চ্যানেলে আপলোড করা বিষয়গুলি থেকে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে। উস্কানিমূলক কমেন্টও করেছেন তিনি। কাজেই সাময়িকভাবে ট্রাম্পের ইউটিউব চ্যানেলও বন্ধ হয়ে গেল আজ থেকে।
দিনকয়েকের মধ্যে নতুন যতগুলি কনটেন্ট আপলোড করা হয়েছে সেগুলিও সরিয়ে দিয়েছে ইউটিউব। ক্যাপিটলে হিংসার জেরে ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্টও পাকাপাকিভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। টুইটার জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় থেকেই একের পর এক বিভ্রান্তিকর টুইট করে চলেছেন ট্রাম্প। কখনও ভোট দুর্নীতির অভিযোগ চাপিয়েছেন ডেমোক্র্যাটদের ওপরে, তো কখনও বলেছেন ব্যালটে দেদাড় কারচুপি চলছে। সে সময়ও টুইটার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, বিভ্রান্তিকর বার্তা ছড়িয়ে টুইটারের নিয়মনীতি লঙ্ঘন করছেন ট্রাম্প।
গত সপ্তাহে মার্কিন মুলুকের সংসদ ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকরা তাণ্ডব চালান। তাদেরকে তাতিয়ে তোলার অভিযোগও ওঠে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। যে জন্য তাঁকে তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে দিতে শুরু করে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ট্রাম্পকে সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রাখলেও ট্রাম্পকে চিরতরে তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে দিয়েছে টুইটার।
এর মাঝেই ক্যাপিটলে হওয়া তাণ্ডবের কথা মাথায় রেখে ট্রাম্পের দিন সাতেক পদে থাকা বাকি থাকলেও তাঁর বিরুদ্ধে ফের ইমপিচমেন্টের পদক্ষেপ এনেছেন ডেমোক্র্যাটরা। তবে সেটা যদিও শেষ পর্যন্ত হয়তো খাতায় কলমে বাস্তবায়িত হচ্ছে না এবার।