29 C
Kolkata

ফ্লয়েড হত্যায় অস্থির আমেরিকা

নিজস্ব সংবাদদাতা :: নিউ ইয়র্ক থেকে লস অ্যাঞ্জেলেস– পুলিশের নির্মম নির্যাতনে, এক নিরীহ কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুতে ফুঁসছে গোটা আমেরিকা। রাস্তায় নেমে শনিবার পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। করোনার মৃত্যুভয়, সামজিক দূরত্বকে হেলায় অবজ্ঞা করে, মুখে মাস্ক না-পরে হাজারে হাজারে প্রতিবাদী পথে নেমেছেন। কোনও নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলের গণ্ডিতে আর আটকে নেই বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে এদিন রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। কিন্তু, তাতেও ডোন্ট কেয়ার প্রতিবাদীরা। এই অস্থিরতা সামাল দিতে অধিকাংশ প্রদেশের গভর্নর রবিবার থেকে ন্যাশনাল গার্ড নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

২০১৪-য় অগস্টে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের ফার্গুসন শহরে এমনই আর এক নিরস্ত্র কৃষাঙ্গ যুবককে গুলি করে হত্যা করেছিলেন ড্যারন উইলসন নামে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশকর্তা। সেই অফিসারের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করতে সেসময় অস্বীকার করেছিল গ্র্যান্ড জুরি। সেন্ট লুইস কাউন্টি প্রসিকিউটর রবার্ট ম্যাককুলচের বক্তব্য ছিল, ড্যারন উইলসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সম্ভাব্য কোনও কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।২০১৪ সালের ৯ অগস্ট সেন্ট লুইসের ফার্গুসনে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার ড্যারন উইলসনের গুলিতে নিরস্ত্র কৃষাঙ্গ যুবক মাইকেল ব্রাউন নিহত হন। সেই হত্যাকাণ্ড ঘিরেও সেন্ট লুইসে ছ-বছর আগে ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভ দানা বেঁধেছিল। অবস্থা সামাল দিতে মিসৌরি জুড়ে এক মাসের জরুরি অবস্থা জারি করতে হয়েছিল প্রশাসনকে। নামাতে হয়েছিল ন্যাশনাল গার্ড। এ বারও বিক্ষোভ সেদিকেই যাচ্ছে।জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকণ্ডে ইতিমধ্যে মিনিয়াপোলিস পুলিশ বিভাগের চার অফিসারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার পরেও কিন্তু বিক্ষোভ সামাল দেওয়া যায়নি। উপরন্তু, আমেরিকার ছোট-বড় শহরগুলিতে নতুন করে দানা বাঁধছে বিক্ষোভ। রবিবার চতুর্থ দিনে পড়ল এই বিক্ষোভ। মার্কিন কারাগারে অন্যায় ভাবে জর্জ ফ্লয়েড নামের ওই কৃষ্ণাঙ্গকে খুনের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বড় শহরগুলিতেও ক্রমে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভের আগুন। লকডাউনের তোয়াক্কা না-করে, বিভিন্ন প্রান্তে ১০ হাজারেরও বেশি মার্কিনি প্রতিবাদে সামিল হন।

আরও পড়ুন:  Interesting facts: আপনি কি জানেন, পিঁপড়ের দুধ কতটা পুষ্টিকর ?

Featured article

%d bloggers like this: