নিজস্ব সংবাদদাতা :: গোটা পৃথিবী মারন ভাইরাস করোনা মহামারিরতে নাজেহাল। চলছে বাঁচার লড়াই। আর এর মধ্যেই আরেকটি দুঃসংবাদ দিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-র বিজ্ঞানীরা। তারাও বলছেন, ‘লকডাউনে চলে গেছে সূর্য। আর এ কারণে দিন দিন শীতল হয়ে আসছে। এর ফলে বিশ্বে তাপমাত্রা কমে যাবে, পৃথিবী আরও শীতল হয়ে উঠবে।’নিউ ইয়র্ক টাইমস এর খবর অনুযায়ী জানা গেছে, বিশ্বজুড়ে ভূমিকম্প ও দুর্ভিক্ষের মতো ভয়ঙ্কর দুর্যোগ দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সূর্য বর্তমানে ‘সোলার মিনিমাম’ পরিস্থিতিতে রয়েছে। এর ফলে পৃথিবীতে সূর্যের স্বাভাবিক সময়ে সরবরাহ করা তাপমাত্রা অনেক কমে গেছে। অর্থাত্ পৃথিবীর প্রতি সূর্যের কার্যকলাপ নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে। বিশ্বখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ড. টনি ফিলিপস বলেন, বিশ্ববাসী সামনে এমন গভীরতম এক সময়ের ভিতরে প্রবেশ করতে যাচ্ছে, যেসময়ে সূর্যের আলো কার্যত অদৃশ্য হয়ে যাবে। সূর্যের সোলার মিনিমাম চলছে।এই ‘সোলার মিনিমাম’-এর প্রভাব পড়তে পারে পৃথিবীতেও। খরা, শীত, অগ্ন্যুত্পাত বা ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের ঘটনা বেড়ে যেতে পারে পৃথিবীতে। এই ‘সোলার মিনিমাম’-এর প্রভাবে ১৭৯০ থেকে ১৮৩০ সালের মধ্যে হওয়া ‘ডালটন মিনিমাম’ ফিরে আসতে পারে। সৌর বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এমনই এর ‘সোলার মিনিমাম’-এর প্রভাবে ১৮১৫ সালের ১০ এপ্রিলে ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট টাম্বোরাতে হওয়া ভয়ঙ্কর অগ্ন্যুত্পাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭১ হাজার মানুষ। এর ঠিক পরের বছরই ,১৮১৬ সালে ‘বিনা গ্রীষ্মের বছর’ দেখেছিল পৃথিবী। সে বছর জুলাই মাসে বিশ্বের বহু জায়গায় বরফ পড়েছিল। এই ঘটনা বিজ্ঞানীদের কাছে ‘ডালটন মিনিমাম’ নামে পরিচিত। লকডাউনের মাঝে সূর্যের গতি প্রকৃতি তাই নতুন করে চিন্তা বাড়িয়েছে বিজ্ঞানীদের ।