নিজস্ব সংবাদদাতা :: প্রয়াত বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক পদ্মভূষণ আনিসুজ্জামানের মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষায় তাঁর শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সিএমএইচ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যুর পর নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। পরে রাতে হাসপাতালের চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, আনিসুজ্জামানের শরীরে করোনার উপস্থিতি রয়েছে। আনিসুজ্জামানের বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন তিনি। অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ২৭ এপ্রিল বরেণ্য এই শিক্ষাবিদকে রাজধানীর ইউনিভার্সেল কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর হার্ট, কিডনি, ফুসফুস, উচ্চ রক্তচাপ, পারকিনসন ডিজিজসহ নানা শারীরিক জটিলতা ছিল। গত ১০ মে তাঁর নমুনা নিয়ে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তখন রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ এসেছিল। পারিবারিক সূত্র জানা গিয়েছে, গত ৯ মে আনিসুজ্জামানকে সিএমএইচ হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তাঁর ছাত্র ছাত্রীরা। ছয় দশকেরও বেশি সময় শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে জড়িত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার আগে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ভাষা আন্দোলন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনসহ পরবর্তী প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। এছাড়া ধর্মান্ধতা ও মৌলবাদবিরোধী নানা কর্মকাণ্ডে সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব আনিসুজ্জামানের সক্রিয় ভূমিকা ছিল । বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, অলক্ত পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কারসহ নানা পুরস্কার ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রিতে ভূষিত হয়েছেন।