নিজস্ব সংবাদদাতা :: বিশ্ব জুড়ে করোনা অতিমহামারী ছড়িয়ে পড়ার পরেই আমেরিকার সঙ্গে চিনের সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চিনের বিরুদ্ধে দু’টি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। প্রথমত, হংকং-এর বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হবে। দ্বিতীয়ত এখন থেকে চিনের সব ছাত্রকে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হবে না। এর পাশাপাশি আমেরিকা ও ব্রিটেন যৌথভাবে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে অভিযোগ জানিয়েছে, হংকং-এ একটি অত্যন্ত বিতর্কিত নিরাপত্তা আইন জারি করতে চলেছে চিন। এর প্রতিক্রিয়ায় চিন বলেছে, হংকং-এর ব্যাপারে কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চে আলোচনা হওয়াই উচিত নয়। এর আগে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প বলেছিলেন, হংকং-এর সঙ্গে বেশ কয়েকটি অন্যায্য আচরণ করেছে চিন। দীর্ঘকাল যাবত্ বিশ্বে ওই শহরটির একটি গৌরবের স্থান ছিল। কিন্তু ওই প্রাক্তন ব্রিটিশ উপনিবেশটি চিনের হাতে আসার পর থেকে তার সেই স্থানটি নষ্ট হতে বসেছে। ট্রাম্পের কথায়, ‘এই ব্যাপারটি হংকং, চিন তথা সারা বিশ্বের কাছেই এক ট্র্যাজেডি।’ একইসঙ্গে ট্রাম্প জানান, আমেরিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে। কারণ করোনা সংকটে চিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে ওই সংস্থা। ট্রাম্প কিন্তু একবারও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সমালোচনা করেননি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগে একাধিকবার বলেছেন, জিনপিং-এর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের সম্পর্ক আছে। শুক্রবার ট্রাম্প স্পষ্ট বলেন, ‘আমি প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি, হংকং-কে যেন আর বিশেষ মর্যাদা বা সুবিধা না দেওয়া হয়।’ একইসঙ্গে ট্রাম্প নির্দেশ দিয়েছেন, চিনের কোনও ছাত্রের সঙ্গে যদি সেদেশের সেনাবাহিনীর সম্পর্ক থাকে, তাকে যেন আমেরিকার কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না করা হয়। তাঁর কথায়, ‘বছরের পর বছর চিনা গুপ্তচরেরা আমাদের বিভিন্ন শিল্পের গোপন তথ্য চুরি করছে।’ গত ফেব্রুয়ারিতে এফবিআই জানায়, চিনা গুপ্তচরদের বিরুদ্ধে এক হাজার মামলা চলছে। অভিযোগ, তারা প্রযুক্তিগত তথ্য চুরি করেছিল।