চয়নিকা চন্দ্র: সোমবার সকাল ১০টার সময় হঠাৎ গুলি চলতে শুরু করে ন্যাশভিলের কভেন্যান্ট স্কুলে। বন্দুকবাজের হানায় মৃত্যু হয় তিন শিশু-সহ ৬ জনের। পুলিশ সূত্রের খবর, একটি ছোট দরজা দিয়ে ঢুকে গুলি চালানো শুরু করে আততায়ী। তারপর একের পর এক ক্লাসরুমে গুলি চালাতে থাকে। বেশ কয়েকটি ঘরে পড়ুয়া ও শিক্ষকরা আলমারির মধ্যে ঢুকে পড়েন। বেশ খানিকক্ষণ গুলি চলার পর বিদ্যালয় ছেড়ে পালিয়ে যায় বন্দুকবাজ। কিন্তু পালানোর সময় বেশ কিছু কাগজপত্র ফেলে রাখে সে, সেখান থেকেই জানা গিয়েছে আরও বেশ কিছু জায়গায় হামলার পরিকল্পনা রয়েছে তার। ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে ৮ বছর বয়সি তিন পড়ুয়ার। স্কুলের প্রধান-সহ আরও দুই শিক্ষকও মারা যান।
২৮ বছর বয়সি আততায়ীর নাম অড্রে হেল। অড্রে এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন পড়ুয়া ছিল। বেশ কিছুদিন ধরেই এই স্কুলে হামলার ছক কষেছিল সে। প্রয়োজনমতো অস্ত্র জোগাড় করে, স্কুলের মানচিত্র এঁকে যাবতীয় পরিকল্পনা সেরে রেখেছিল। এমনকি ধরা পড়লে আইনের সাহায্যে কীভাবে শাস্তি এড়ানো যায়, সেই নিয়েও পড়াশোনা করে রেখেছিল। হামলার পর স্কুল ছেড়ে পালিয়ে যায় অড্রে। সোমবারের এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন । তিনি বলেন, “এটা মেনে নেওয়া যায় না। গোটা বিষয়টির দিকে কড়া নজর রাখছি। এই ঘটনায় আমেরিকার হৃদয় একেবারে ভেঙে গিয়েছে। কংগ্রেসের কাছে আমার আবেদন, অস্ত্র রাখার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করুন তাঁরা।”
উল্লেখ্য, আমেরিকায় বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। স্কুল থেকে শুরু করে ধর্মস্থান, রেহাই পাচ্ছে না কোনো স্থান। বন্দুক সংক্রান্ত আইন পাশ হলেও থামছে না হামলার ঘটনা।