নিজস্ব সংবাদদাতা : দেশে বর্তমানে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তার দুটি ডোজের মধ্যে ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধান রাখার পরামর্শ দিয়েছে হু। সুতরাং প্রচুর মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার সময়, সুযোগ মিলবে।
এই প্রেক্ষাপটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)র মুখ্য বিজ্ঞানী ডঃ সৌম্য স্বামীনাথন পূর্ণ লকডাউনের ফল ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে অভিমত জানিয়ে সে ব্যাপারে সাবধান করলেন। তিনি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেশের নাগরিকদেরই সামলে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
বলেছেন, তৃতীয় ঢেউয়ের কথা ভাবার আগে আমাদের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে হবে। যথেষ্ট সংখ্যক লোককে ভ্যাকসিন দেওয়ার আগেই নিশ্চিত ভাবে অতিমারীর আরও ঢেউ আঘাত হানতে পারে। দেশে যেভাবে দিনদিন করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়েই চলেছে, তাতে ফের সর্বত্র লকডাউন জারি হচ্ছে কিনা, সেই জল্পনা অব্যাহত।
এদিকে সংক্রমণ কমে গিয়ে আবার কেন বাড়ল? আবার কেন লকডাউনের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হল? এর কারণ হিসেবে নিজেদের গাফিলতিকেই দায়ী করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন(Harsh Vardhan)। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বললেন, দেশে করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমতেই সাধারণ মানুষ কোভিড বিধি নিয়ে অনীহা দেখিয়েছেন।
মাস্ক পরার ক্ষেত্রে গাফিলতি দেখিয়েছেন। আর সেই কারণেই দেশে ফের একবার করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।যদিও এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি বলেই বিশ্বাস কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর । তবে সাধারণ মানুষ যদি এখনও করোনা সংক্রমণ নিয়ে সাবধান না হন, তাহলে ভবিষ্যত্ পরিস্থিতি নিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।”
এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সাধারণ মানুষ যেন মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো অতি সাধারণ স্বাস্থ্যবিধিগুলি অনুসরণ করে চলেন, সেই অনুরোধও করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।