নিজস্ব প্রতিবেদন: আবারও ভয়াবহ পরিণতি প্রেমের। আবারও খুন। আবারও ধারাল অস্ত্রের ঘায়ে টুকরো টুকরো শরীর। শ্রদ্ধা ওয়াকারের হত্যাকাণ্ড যেন আদর্শ উদাহরণ হয়ে উঠেছে অপরাধীদের জন্য। দিল্লি, উত্তর প্রদেশের পর এবার মধ্য প্রদেশ। সেখানেও এক ব্যক্তি খুন করলেন তাঁর স্ত্রীকে খুন করে দেহটি কেটে দুই টুকরো করে ফেললেন। এমনকি, দেহের ওই দুটি অংশ জঙ্গলের দুই প্রান্তে পুঁতে দেন। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের শাহদোল জেলায়। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চলতি মাসের শুরুতেই খুনের ঘটনাটি ঘটলেও, বিষয়টি নজরে আসে যখন গত ১৩ নভেম্বর। নিহত যুবতীর ভাই ও বৌদি নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানান। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। গত ১৫ নভেম্বর পুলিশের কাছে খবর আসে, শাহদোলের নরসিংহপুরের জঙ্গলের ভিতর থেকে মহিলার জামা-কাপড় উদ্ধার হয়েছে। তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে ওই পোশাক নিখোঁজ মহিলার। এরপরই জঙ্গল জুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। জঙ্গলের বেশ কিছুটা গভীরে এক মহিলার কাটা মুন্ডু উদ্ধার হয়। ওই জায়গা থেকে কিছুটা দূরেই মাটি খুঁড়ে দেহের বাকি অংশ উদ্ধার করা হয়। মহিলার দেহ উদ্ধারের পরই পুলিশ তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। দুইদিন তল্লাশি চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত রাম কিশোর পটেলকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাম কিশোর পটেল নামক এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী সরস্বতী পটেলকে খুন করেন। ধারাল কাটারি দিয়ে স্ত্রীর মুণ্ড আলাদা করে দেন ধর থেকে। এরপরে শাহদোল জেলার জঙ্গলে গিয়ে টুকরো করা দেহাংশ দুটি পুঁতে দেন। জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছেন, তাঁর সন্দেহ ছিল স্ত্রীর অন্য কারোর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এই সন্দেহেই তিনি স্ত্রীকে জঙ্গলে নিয়ে যান এবং সেখানে কুঠার দিয়ে ধর থেকে মুণ্ড আলাদা করে দেন স্ত্রীর। এরপরে জঙ্গলের দুই প্রান্তে দেহ পুঁতে দিয়ে আসেন