নিজস্ব প্রতিবেদন: এই মুহূর্তে গৌতম আদানি রাজ করছেন সারা বিশ্বে। ২০২২ সালের পর ২০২৩ সালেও তাঁর রাজত্ব আরও নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীর জন্য সুখবর শোনালেন আদানি। তিনি বলেন, ‘২০৫০ সালের মধ্যে ৩০ লক্ষকোটি টাকার অর্থনীতি হতে চলেছে ভারত।’
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে আদানি বলেন, ‘ভারতীয় অর্থনীতি যেভাবে এগোচ্ছে তাতে আগামী দিনে মাথাপিছু আয় বাড়বে, কাজের সুযোগ বাড়বে। আগামী বছরগুলোতে ভারতকে কেউ আটকাতে পারবে না।’ পরিসংখ্যান তুলে ধরে শিল্পপতি জানান, স্বাধীনতার পর ৫৮ বছর লেগেছিল ১ লক্ষ কোটি টাকার অর্থনীতি হতে। পরবর্তী ১২ বছরে তা হয় ২ লক্ষ কোটি, পরের পাঁচ বছরে ৩ লক্ষ কোটি। ইদানীংকালে অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি বৃদ্ধিতেই ২০৫০ সালের মধ্যে ৩০ লক্ষ কোটি টাকার অর্থনীতি হয়ে উঠবে ভারত।
প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ তিনি। এই জন্যই নাকি অতিরিক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে তাঁর সংস্থা। এই অভিযোগ বিরোধীরা বার বার করেছে। এবার বিষয়টি নিয়ে খোলসা করলেন গৌতম আদানি নিজেই। তিনি বলেন, ‘২২ রাজ্যে তাঁর ব্যবসা রয়েছে, কিন্তু সবগুলো বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই প্রতিটি রাজ্যেই বিনিয়োগ করতে আদাই গোষ্ঠী খুশি যে, আমরা বর্তমানে ২২ টি রাজ্যে কাজ করছি। এবং এই সমস্ত রাজ্য কিছু বিজেপি শাসিত নয়। এই কথা বলতে পারি, আমাদের কোনও রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও সমস্যা নেই। এমনকি বাম-শাসিত কেরল, মমতাদির পশ্চিমবঙ্গ, নবীন পট্টনায়কজির ওড়িশা, জগন্মোহন রেড্ডি, চন্দ্রশেখর রাও-এর রাজ্যেও আমরা কাজ করছি।’
উল্লেখ্য, সম্পত্তির হিসেবে গৌতম আদানি বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় ধনীতম ব্যক্তি। ৬০ বছর বয়সি এই শিল্পপতির নেতৃত্বের আদানি গোষ্ঠী গত পাঁচ বছরে বিমানবন্দর, সিমেন্ট, তথ্য কেন্দ্র, সবুজ হাইড্রোজেন, পেট্রোকেমিক্যাল পরিশোধন, রাস্তা এবং সৌর বিদ্যৎ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছে। আগামী দিনে আরও বেশি বিনিয়োগের ভাবনা রয়েছে আদানি গোষ্ঠীর। শিল্পপতি জানান, মোদীর থেকে কোনও ব্যক্তিগত সুবিধা তিনি নেননি। তাঁর বক্তব্য, জাতীয় স্বার্থে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা যেতেই পারে। কিন্তু প্রকল্প রূপায়ণ হলে সেটা শুধু আদানি গোষ্ঠীর জন্য হয় না, সকলেই তার সুবিধা ভোগ করে। ব্যাঙ্ক ঋণ প্রসঙ্গে এই শিল্পপতি জানান, গত সাত-আট বছরে তাঁদের আয় বেড়েছে ২৪ শতাংশ। অন্য দিকে ঋণও ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সঙ্গে জানান, আদানি গোষ্ঠীর ঋণের তুলনায় সম্পত্তির পরিমাণ চার গুণ।