নিজস্ব সংবাদদাতা : পঞ্জাবে মোট করোনা সংক্রমণের ৮০ শতাংশ ব্রিটেনের ভ্যারিয়েন্ট। জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. হর্ষবর্ধন। তিনি এটাও উল্লেখ করেছেন, বিয়ে বাড়ি, স্থানীয় নির্বাচন ও কৃষক আন্দোলন থেকেই মূলত ব্যাপক হারে ছড়িয়েছে করোনা সংক্রমণ।
দৈনন্দিন করোনা সংক্রমণের হার ও মৃতের সংখ্যার নিরিখে পাঞ্জাব এখন ভয় ধরাচ্ছে গোটা দেশকে। মহারাষ্ট্রের পর পাঞ্জাবেই সব থেকে ভয়ানক করোনা পরিস্থিতি। আর কোভিড পরিস্থিতি এতটা খারাপ হওয়ার পিছনে পাঞ্জাবের মানুষের উদাসীনতা অনেকটা দায়ি বলে মনে করছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
গত কয়েক মাসে পাঞ্জাবের মানুষের স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন ও একের পর এক জমায়েত পরিস্থিতি এতটা উদ্বেগজনক করে তুলেছে।এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বলেছেন, ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে পঞ্জাবে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়েছে।
সংক্রমণের সঙ্গে মৃতের হার নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। ফেব্রুয়ারির ১০ থেকে ১৬ তারিখের মধ্যে সেখানে রোজ মৃত্যুর হার ছিল গড়ে আট। এখন সেটাই ৫৮ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং জানিয়েছিলেন, ৪৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সী ব্যক্তিদের টিকাকরণে দেরি করেছে কেন্দ্র।
যার জেরে পাঞ্জাবে সংক্রমণ ছড়িয়েছে হু হু করে। তিনি এর আগে সবাইকে টিকাকরণের দাবিও জানিয়েছিলেন। তবে কেন্দ্রের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে প্রতিটি দেশবাসীকে টিকা দেওয়া সম্ভব নয়।