নিজস্ব সংবাদদাতা : ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১-২২ আর্থিক বছরের সাধারণ বাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। দেশে মার্চ মাস থেকে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশের অর্থনীতি একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। জিডিপি হ্রাস হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবার কোভিড-১৯ সেস বসানোর কথা চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
উল্লেখ্য, করোনার জেরে সরকারের খরচ বেড়ে গিয়েছে। অতিরিক্ত খরচ তুলতে তাই বসানো হতে পারে এই সেস। মহামারী পর্বে ঝাড়খন্ড খনিজের উপর কোভিড শুল্ক জারি করে। পঞ্জাবে মদের উপর অতিরিক্ত কর চাপানো হয়। একইভাবে দিল্লি সরকার ৭০ শতাংশ শুল্ক চাপায় মদের উপর। যদিও পরে তা প্রত্যাহার করে ভ্যাট বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশের আগে সেস বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে চাইছে কেন্দ্র। যদিও সেস বসানোর সিদ্ধান্ত কেন্দ্র একা নিতে পারে না। জিএসটি কাউন্সিলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে সেবিষয়ে। সূত্রের দাবি, পরিবহন, সংরক্ষণ সহ গোটা টিকাকরণ প্রক্রিয়ার জন্য ৬০-৬৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলেই মনে করছে কেন্দ্র।
সূত্রের খবর, বিভিন্ন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্তদের নিয়ে বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বাজেট নিয়ে প্রস্তাবে শিল্পপতিরা বলেছিলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোনও নতুন কর বা শুল্ক চাপানো যাবে না। নতুন করের বিরোধিতা করেছেন বিশেষজ্ঞরাও।লকডাউনের জেরে ২০২০ সাল ক্ষতবিক্ষত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিল্প থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক নানা ক্ষেত্র। সেই ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে ফেরাতে কী কী ব্যবস্থা নিতে চলেছে কেন্দ্র, তা জানার জন্য এই বাজেট ২০২১ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের তাবড় অর্থনীতিবিদদের মতে আর্থিক ক্ষেত্রগুলি পুনরুদ্ধার করতে এবং বৃদ্ধির মুখ দেখতে সরকারকে আগের থেকে ‘ব্যয়’ আরও বাড়িয়ে তুলতে হবে।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিল, নীতি আয়োগ এবং প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার কার্যালয় অর্থনীতির পুনরুদ্ধারকে আরও শক্তিশালী করার জন্য একটি সম্প্রসারণ বাজেটের উপর জোর দিয়েছে।