নিজস্ব সংবাদদাতা : গত ৭ ফেব্রুয়ারি হড়পা বানে ভেসে যায় চামোলি। হিমবাহ ভাঙা জলস্রোত ভাসিয়ে নিয়ে যায় দুটি জলবিদ্যুত্ কেন্দ্রকেও। প্রবল জলস্রোতে ঋষিগঙ্গা নদীর গতিপথে একটি কৃত্রিম হ্রদ তৈরি হয়ে যায়।
উপগ্রহ চিত্রে দেখা যায়, চামোলি জেলার পাহাড়ি উপত্যকায় যেখানে তুষারধস নেমেছিল সেই এলাকাতেই ঋষিগঙ্গা নদীর গতিপথে নুড়ি, পাথরের দেওয়ার তৈরি হয়ে একটি কৃত্রিম হ্রদ তৈরি হয়েছে। এই হ্রদের কারণে নদীর প্রবাহ বাধা পাচ্ছে। প্রবল চাপের মুখে দেওয়াল ভেঙে ভয়ঙ্কর জলরাশি যে কোনও সময় পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে আসতে পারে।
ফের হড়পা বানে ভাসতে পারে চামোলির গ্রাম।এই হ্রদই দ্বিতীয়বার বিপর্যয় ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ হ্রদের চারপাশের দেওয়ালে অলকানন্দা জলপ্রবাহের ভয়ানক চাপ পড়ছে। দেওয়ালেও ফাটল ধরতে পারে। এই বিপর্যয় এড়ানোর জন্য হ্রদের মুখ প্রায় ১৫ ফুট চওড়া করার চেষ্টা করছেন জওয়ানরা।
কম্যান্ডান্ট নভনীত বলছেন, হ্রদের মুখ চওড়া হলে জলের চাপ কমবে। এরপরে হ্রদের জল ধীরে ধীরে বের করে আনার চেষ্টা করা হবে।সতর্ক হচ্ছেন আইটিবিপি, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল ও এসডিআরএফের জওয়ানরা।
হড়পা বানে ভেসে যাওয়া ৬৮ জন শ্রমিকের দেহ এখনও অবধি উদ্ধার করা গিয়েছে। নিখোঁজ আরও ১৩৬ জন। এই নিখোঁজ শ্রমিকদের মৃত বলে ঘোষণা করতে পারে জেলা প্রশাসন। পাহাড়ি সুড়ঙ্গের ভেতরে আটকে পড়াদের খোঁজ এখনও চালাচ্ছেন সেনা জওয়ানরা