নিজস্ব সংবাদদাতা : মহামারীর শেষ কোথায়! আতঙ্ক বাড়ছিল মানুষের মনে। তবে এখন পরিস্থিতি আর আগের মতো নেই। এখন আর ভয়ের কিছু নেই। Coronavirus-এর বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো অস্ত্র এখন ভারতবাসীর কাছে পৌঁছেছে। ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে শুরু হবে টিকাকরণ। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু।
যাঁরা এতদিন অস্ত্র ছাড়াই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়লেন, তাঁদের সবার প্রথমে টিকাকরণ হবে। চিকিত্সক, স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মীদের পরিবারের সদস্যরা এতদিন দুশ্চিন্তায় কাটিয়েছেন। তবে এবার তাঁদের কিছুটা স্বস্তি।পুণের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে বিশেষ বিমানে কলকাতায় এসে পৌঁছেছে প্রায় সাত লক্ষ Vaccine-এর ডোজ।
সেই ভ্যাকসিন নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতুহল ও উন্মাদনার অন্ত নেই। আসলে এত বড় মহামারী থেকে এই ভ্যাকসিন একমাত্র বাঁচাতে পারে। তাই এই উন্মাদনা ও কৌতুহল একেবারে স্বাভাবিক। বিমানবন্দরে নামার পরই বাগবাজারে কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল স্টোরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে কোভিশিল্ড ।
রাজ্যের সব জেলায় তিনটি করে হাসপাতালে টিকাকরণের মহড়া হয়েছে। টিকাকরণের গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথম ধাপে ৩ কোটি কোভিড যোদ্ধাকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) জানতে চান, বাকিদে কবে দেওয়া হবে ভ্যাকসিন! কেন্দ্রেরর তরফে জানানো হয়েছে, পরের দফা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। দু’টি টিকার মধ্যে কোনটি নিরাপদ, এই নিয়েও প্রশ্ন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নীতি আয়োগের বিনোদ কে পল আশ্বাস দিয়েছেন, দুটি ভ্য়াকসিনের কোনওটিতেই গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মেলেনি।