নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ছে ভারতে৷ যা নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সব মহলে৷ এই পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কাজের জায়গায় ভ্যাকসিন সেন্টার করে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরুর কথা বলা হচ্ছে৷ এই মারণ রোগকে আটকাতে ভ্যাকসিনেশনের গতি আরও বাড়াতে হবে৷ যে সব অফিসে ১০০ -র বেশি কর্মচারী আছে সেখানেই ভ্যাকসিন সেন্টার করা যেতে পারে৷ বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকায় ১১ এপ্রিল থেকে এই সুবিধা চালু হবে৷
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ বছর বয়সী সমস্ত মানুষদের ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়ে গেছে৷ সারা দেশে ৪৫- ৫৯ বছর অবধি বয়সের লোক বিশাল সংখ্যায় সংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করে৷ এরা সরকারি ও বেসরকারি দফতরে বিভিন্ন কাজে থাকে৷ এই সব ক্ষেত্রে যে অফিসে ১০০ বা তার চেয়ে বেশি কর্মী আছে সেই অফিসেই ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প চালু করা যেতে পারে৷ এতে প্রচুর মানুষকে আর ভ্যাকসিনেশন সেন্টার অবধি যেতে হবে না৷
কোন কোন অফিসে এইধরণের ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প বসবে তা স্থির করবে ডিটিএফ যা জেলার ডিএম -র নেতৃত্বে তৈরি হবে৷ জেলাশাসকের নেতৃত্বে তৈরি এই টিম টাস্কফোর্স তৈরি করবে৷ এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় আর্বান টাস্কফোর্সও এই কাজ করবেষ নোডাল অফিসার ভ্যাকসিনেশনের সব ব্যবস্থা দেখবেন৷
কাজের জায়গাতে যখন ভ্যাকসিনেশন হবে তখন শুধু ৪৫ বছরের নয়৷ তার চেয়ে কম বয়সী কর্মচারীরাও ভ্যাকসিন নিতে পারবেন৷ তবে কর্মস্থলে শুধুমাত্র কর্মীদেরই ভ্যাকসিনেশন হবে কোনও বাইরের লোক সেখান থেকে ভ্যাকসিন পাবেন না৷ সব ভ্যাকসিনেশন কোউইন অ্যাপে রেজিস্ট্রার করেই করতে হবে৷
উল্লেখ্য সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার হেলথ কেয়ার ওয়ার্কার্স অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিনেশনের জন্য নতুন করে রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করে দিয়েছে৷ সরকার করোনার এই হঠাৎ বৃদ্ধিকে আটকাতে ভ্যাকসিনেশনের ওপর ভীষণভাবে জোর দিচ্ছে৷