নিজস্ব সংবাদদাতা : চিনের টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা সিনোভ্যাক জানিয়েছে, তাদের তৈরি টিকা মাত্র ৫০ শতাংশ কার্যকরী। সংস্থাটি আরও দাবি করেছে, ব্রাজিলে যে হিউম্যান ট্রায়াল চালানো হয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে ‘করোনা’ উপসর্গযুক্ত সংক্রমণকে ঠেকাতে সক্ষম। তবে প্রতিষেধকটির কার্যকারীতা নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট নয় ব্রাজিল।
গোড়া থেকেই টিকার ট্রায়ালের ফল গোপন করার অভিযোগ রয়েছে চিনের বিরুদ্ধে।সিনোভ্যাকের দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন সে দেশের বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা। চিনা এই টিকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করায় এক বিশেষজ্ঞ সরকারি রোষেও পড়েছেন বলে খবর। গত সপ্তাহে সিনোভ্যাকের গবেষকরা দাবি করেছিলেন হালকা থেকে সংকটজনক করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে তাদের টিকা ৭৮ শতাংশ কার্যকরী। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন যে ফল উঠে এসেছে তাতে প্রশ্নের মুখে পড়ছে সিনোভ্যোকের বিশ্বাযোগ্যতা।
চিনা সংস্থা সাইনোভ্যাক-এর তরফে জানান হয়েছে, মৃত করোনাকোষগুলিকে ব্যবহার করে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সক্রিয় করার কাজ করে ‘করোনাভ্যাক’ প্রতিষেধক। সূত্রের খবর, করোনায় অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিলে চিনের দু’টি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। তার মধ্যে ‘করোনাভ্যাক’ আগের থেকে ভাল ফল করলেও এখনও যে তা ছাড়পত্র পাওয়ার যোগ্য নয়, তা স্পষ্ট জানিয়েছে ব্রাজিলের করোনাবিদরা।
করোনাভ্যাক’-এর সাফল্যের হার নিয়ে ধোঁয়াশার মাঝেই ইন্দোনেশিয়া, তুর্কি ও সিঙ্গাপুরের মত দেশ সাইনোভ্যাক-এর প্রতিষেধক চেয়ে পাঠিয়েছে বলে খবর। যদিও বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সফলতার হার দেখিয়েছে করোনাভ্যাক, যা ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয়েছে তর্জা। সূত্রের খবর, শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালের ভিত্তিতে তুর্কিতে সাফল্যের হার ৯১.২৫% হলেও ইন্দোনেশিয়ায় এই ভ্যাকসিনের সাফল্যের হার নেমে হয় ৬৫.৩%। স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য ক্ষেত্রের মত টিকাকরণের বিষয়েও চিনের বিরুদ্ধে আঙ্গুল উঠতে শুরু করেছে।