নিজস্ব সংবাদদাতা : ভারত বায়োটেকের টিকা কতটা সুরক্ষিত সে নিয়ে আগেও বহুবার প্রশ্ন উঠেছে। সংশয় থাকায় টিকার ডোজ নিতে রাজি হননি অনেক স্বাস্থ্যকর্মীই।
তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষবর্ধন কোভ্যাক্সিন টিকার ডোজ নিয়ে বার্তা দেন, দেশের তৈরি টিকার ক্ষমতা কোনও অংশেই কম নয়। তাঁদের বক্তব্য ছিল, এই টিকা সুরক্ষিত এবং কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। টিকা নিলে জটিল রোগের ঝুঁকি থাকবে না।
এবার জানা গেলো ,ভারতের কোভ্যাক্সিন টিকার ডোজে শরীরে ইমিউনিটি থাকবে তিন মাসের কাছাকাছি। এমনটাই দাবি করেছে বিশ্বের প্রথম সারির মেডিক্যাল জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট’। ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেট আগেই জানিয়েছিল, কোভ্যাক্সিন টিকা সুরক্ষিত।
টিকার ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরে যে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়, যেমন সূঁচ ফোটানোর জায়গায় ব্যথা, ফোলাভাব, ক্লান্তি, ঝিমুনি, মাথাব্যথা ইত্যাদি দেখা গেছে স্বেচ্ছাসেবকদের। কোনও জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর মেলেনি।
২৮ দিনের বিরতিতে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন টিকার দুটি ডোজ নিলে, তার ১৪ দিন পর থেকে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি শুরু হবে। সংস্থার দাবি, টিকা শুধু দুর্দান্ত কাজ করবে তাই নয়, করোনার নতুন স্ট্রেনের সংক্রমণও ঠেকাতে পারবে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি থেকে নেওয়া ব্রিটেন স্ট্রেনের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে, এই সুপার-স্প্রেডার স্ট্রেনের মিউটেশন রুখতে পারবে ভ্যাকসিনের ডোজ।