নিজস্ব সংবাদদাতা : করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের জন্যই দেশে আসবে অতিমহামারীর তৃতীয় ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে ওষুধ নির্মাতা সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন জানাল, তাদের ভ্যাকসিন ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারে অন্তত আট মাস।
আমেরিকায় এখন দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট। সেদেশের সেন্টার ফোর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন আশঙ্কা করছে, আগামী কয়েক সপ্তাহে আমেরিকায় বেশিরভাগ করোনা রোগীর শরীরে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট পাওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, জনসন অ্যান্ড জনসনের তুলনায় মোডার্না ও ফাইজারের আরএনএ ভ্যাকসিন করোনার বিরুদ্ধে বেশি কার্যকরী।
বিশেষজ্ঞরা ভাবছিলেন, ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজের পাশাপাশি পরবর্তীকালে আর একটি বুস্টার ডোজ দেওয়া যায় কিনা। তাতে শরীরে করোনার বিরুদ্ধে দীর্ঘকালীন প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে। জনসন অ্যান্ড জনসনের গ্লোবাল হেড জন ভ্যান হফ বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত যে, এখন বুস্টার ডোজের দরকার নেই। আমাদের ভ্যাকসিন বিভিন্ন স্ট্রেনকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম।’
কোম্পানির বক্তব্য, তাদের প্রথম ডোজটি ২৯ দিনের মধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টকে পরাজিত করতে পারবে। বৃহস্পতিবার ওই সংস্থা বিবৃতি দিয়ে জানায়, ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট প্রথমে দেখা গিয়েছিল ভারতে। পরে তা বিশ্বের নানা প্রান্তে দেখা যায়। কিন্তু তাদের ভ্যাকসিন ডেল্টা সহ সব ধরনের ভ্যারিয়ান্টের বিরুদ্ধে আট মাস প্রতিরোধ গড়তে পারে।