নিজস্ব সংবাদদাতা : পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ বলেছিলেন, ‘যে ভাবে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানটিকে রণধ্বনিতে পরিণত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত ভুল। উপরন্তু, এটি বাঙালি সংস্কৃতির মধ্যেও পড়ে না।’ এরপরই এক ব্যক্তি টুইট করে আক্রমণ করেন সায়নীকে। তাঁর দাবি, অভিনেত্রী দেশভাগের কথা ভুলে গিয়েছেন।
দেশভাগের সময় মুসলিমদের ‘অপরাধ’-এর বিষয়টিও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই শুরু টুইট-যুদ্ধ। এরপরই আসরে আসেন প্রবীণ রাজনীতিক তথা প্রাক্তন গভর্নর তথাগত। সায়নীকে ট্যাগ করে তিনি লেখেন, সায়নী ‘টাইপের’ মানুষকে ‘মূর্খ’ বলে মনে করেন তিনি।
সেই তালিকায় যোগ করেন বাংলার বামপন্থী মানুষদেরও।এই টুইটের পাল্টা জবাব হিসেবে সায়নী লেখেন, “টাইপ গোছের কথাটা বলে নিজের মানসিক ও সামাজিক সংকীর্ণতার পরিচয় দিলেন। আপনার মতো ‘জিনিস’ সত্যি পশ্চিম বাংলার মানুষের কাম্য নয়।” এর পরও এই কথা কাটাকাটি থেমে যায়নি। বেশ কয়েকটি টুইট চালাচালি হয় দু’জনের মধ্যে।
শেষে তথাগতকে আবার লিখতে দেখা যায়, “এই লালবাবাদের সম্বন্ধে মুখ খারাপ করতে নেই। লেনিনের নিষিদ্ধ পল্লীতে যাতায়াত ও সিফিলিসে মৃত্যু আমি ফাঁস করে দিয়েছিলাম বলে আমার উপরে এদের জাতক্রোধ আছে। করুণা ছাড়া এদেরকে কিছু করার নেই।” তবে ওই যুদ্ধ শুধু দু’জনের মধ্যেই আটকে নেই। আশপাশ থেকে নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছেন অন্য নেটাগরিকরাও।
কোথাও সায়নীকে খুনের হুমকি বা ‘দু পয়সার নাচিয়ে’ বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কোথাও আবার তথাগত-সহ বিজেপি-কে ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তবে তথাগত রায়ের শেষ টুইট বলছে, ‘আর পারছি না! ক্ষ্যামা দে, মা লক্ষ্মী!’