নিজস্ব প্রতিবেদন: এমন কোনও ফল আছে যেটা গাছেই বেঁকে যায়? তাহলে কলাই কেন সোজা না হয়ে বেঁকে যায় জানেন ? কলা এক প্রকারের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ফল। সাধারণত উষ্ণ জলবায়ু সম্পন্ন দেশে কলা ভাল জন্মায়। তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকেই কলার উৎপত্তিস্থল হিসাবে ধরা হয়। সারা বছর এ দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই উঁচু জমিতেই কলার চাষ করা যায়। পার্বত্য এলাকায় বনকলা, বাংলাকলা, মামা কলাসহ বিভিন্ন ধরনের বুনোজাতের কলা চাষ হয়।

কলা বিভিন্ন গুণাগুণে সমৃদ্ধ একটি ফল। এর পুষ্টিগুণ অধিক। কলা ক্যালরির একটি ভাল উৎস। একটি বড় মাপের কলা খেলে ১০০ ক্যালরির বেশি শক্তি পাওয়া যায়। কাঁচা কলা সবুজ, পেকে গেলে তা হলুদ হয়ে যায়। কিন্ত কখনও মনে এমন উঠেছে কলা কেন বাঁকা হয়? সোজা কেন হয় না ? নাকি শুধু কলা পাকলেই বাঁকা হয়?

এরকম তো আর কোনও ফল নেই যা গাছেই বেঁকে যায়। তাহলে শুধুমাত্র কলাই কেন সোজা না হয়ে বেঁকে যায় ? কিন্তু সব কিছুর পিছনেই রয়েছে কোনও না কোনও কারণ। আর এই কলা বাঁকা হওয়ার পিছনেও রয়েছে একটি বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে যা অনেকেরই অজানা।

কলাগুলি বড় হওয়ার সময় ধীরে-ধীরে বাঁকতে থাকে। এই বিষয়টিকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় নেগেটিভ জিওট্রপিজম।গাছে ফলের বৃদ্ধি নির্ভর করে ফটোট্রপিজম, গ্র্যাভিটিজম ও অক্সিনের উপর। অন্যান্য গাছের মতো কলার পাতা ও ফল গ্র্যাভিটির জন্য নিচের দিকে ঝুলে থাকে। কিন্তু কলা বড় হওয়ার সাথে সাথে সূর্যের আলোর দিকে বাড়তে শুরু করে, আর যার কারণেই কলার আকৃতি বেঁকে যায়।

যেমন সূর্যমুখী ফুলের মতোই কলাও সূর্যের দিকে থাকে। যেহেতু বড়ো বড়ো পাতার কারণে কলা গাছ রোদ কম পায় সেহেতু সূর্যের আলো পাওয়ার জন্য কলার কুড়ি থেকে ফল হবার সময় গ্র্যাভিটির দিকে বৃদ্ধি পায়।প্রথমে মাটির দিকে হলেও পরবর্তী কালে আকাশের দিকে বাড়তে থাকায় কলার আকার বাঁকা হয়।

এক হাজারেরও বেশি প্রজাতির কলা আছে পৃথিবীতে। তবে সেই সব কলাই বাঁকা। তবে সোজা কলা যে একদমই পাওয়া যায় না এ ধারণা ভুল। অনেক প্রজাতির কলা আছে, যেগুলো সূর্যের দিকে বাড়ে না। ওদের বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও নেগেটিভ জিওট্রপিজমের কোনও ভূমিকা নেই।