নিজস্ব প্রতিবেদন: শীঘ্রই ভারতে 5G পরিষেবা এন্ট্রি নিতে চলেছে। কয়েকদিনের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে 5G স্পেকট্রাম নিলামের এবং হয়তো আগামী মাস থেকে 5G প্ল্যান আসতে শুরু করবে। একবার 5G পরিষেবা চালু হলে, সারা দেশে ধীরে ধীরে এই পরিষেবাটি ছড়িয়ে যাবে। তবে বর্তমানে এই 5G পরিষেবা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। যেমন কিভাবে সিম পাবেন 5G প্ল্যানের দাম কেমন হবে, এবং কবে থেকে এই সার্ভিস শুরু হবে, ইত্যাদি। কিন্তু এই সবকিছু ছাড়াও, আরেকটি খুব মজার প্রশ্ন হল যে ভারতে যখন 5G পরিষেবা আসবে, তখন 4G-এর কী হবে? 4G পরিষেবা কি বন্ধ হয়ে যাবে নাকি চলবে ?

আমরা 3G এর অবস্থা দেখেছি, এখন 4G এর পালা। তবে 4G পরিষেবা আপাতত এখানেই থাকবে। এটা যদিও বন্ধ হবে না এখন। কারণ 5G পরিষেবা আসতে এখনও সময় লাগবে। এই 5G নিলাম প্রক্রিয়া সম্প্রতি শুরু হয়েছে। এটি এখনও চালু হয়নি। এটি চালু হলেও 4G এর মতো সারা দেশে একসঙ্গে আসবে না। ধীরে ধীরে চালু করা হবে। মনে করা হচ্ছে ছোট গ্রাম ও শহরে 5G পরিষেবা পৌঁছাতে প্রায় বছর ২-৩ লাগতে পারে বা সেখানে হয়তো নাও আসতে পারে।

4G পরিষেবার দ্রুত বিস্তারের কারণ ছিল JIO। না হলে এই পরিষেবাটিও খুব সময়সাপেক্ষ ছিল। Airtel 2014 সালে তাদের 4G পরিষেবা চালু করেছিল। এরপর ভোডাফোনও এই ক্ষেত্রে এন্ট্রি নেয়। এমনকি 2016 পর্যন্ত, তাদের পরিষেবা শুধুমাত্র কয়েকটি নির্বাচিত শহরে উপলব্ধ ছিল এবং বেশিরভাগ ইউজাররা এটি সম্পর্কে তেমন অবগতও ছিলেন না। কিন্তু 2016 সালে ভারত জুড়ে Jio ফ্রি পরিষেবা সহ তাদের 4G নেটওয়ার্ক চালু করেছিল এবং ইউজাররা 4G এর আসল শক্তি জানতে পেরেছিলেন। যার ফলে দোকানগুলিতে লম্বা লাইন তৈরি হতে শুরু করে এবং সবাই Jio সিমের জন্য অপেক্ষা করতে শুরু করে। এজন্য এক প্রকার বাধ্য হয়েই এয়ারটেল এবং ভোডাফোন-আইডিয়ার মতো কোম্পানি গুলো কম দামে ভারত জুড়ে তাদের 4G পরিষেবা শুরু করেছিল।

কিন্তু এবার কোনও সংস্থাই এত বড় ঝুঁকি নেবে না। কোনও অপারেটর সারা দেশে একযোগে 5G পরিষেবা চালু করতে চাইছে না। এর পাশাপাশি এই 5G পরিষেবাও ব্যয়বহুল হতে চলেছে। শুরুতে সাধারণ মানুষের থেকে দূরে থাকবে এই পরিষেবা। তাই আশা করা যায় যে আপাতত ফোরজি পরিষেবা বন্ধ হচ্ছে না। হ্যাঁ, দুই বছর পর যদি মানুষের হাতে 5G ফোন চলে আসে, তাহলে এই সার্ভিস বন্ধ করার চিন্তাভাবনা 3G পরিষেবার মতোই হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে আপাতত 4G পরিষেবা যেমন আছে, তেমনই থাকবে।