নিজস্ব প্রতিবেদন: গত কয়েকদিনে টলিউডে ফের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ঊধ্বর্মুখী। এর জেরে আবার আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আর্টিস্ট ফোরাম, ফেডারেশন এবং স্টুডিয়ো মালিকেরা উদ্যোগী হয়েছেন। আর্টিস্ট ফোরাম নোটিস পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, অতিমারির প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ফোরামের অনুমতি ছাড়া এমনি দিনে রাত দশটার পরে এবং মাসের দ্বিতীয় রবিবার শুটিং করা যাবে না। যদি কোনও সদস্য এই নির্দেশ অমান্য করেন, তা হলে ফোরাম নিয়মভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। আর্টিস্ট ফোরামের পক্ষ থেকে শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় বললেন, অতিমারি পরিস্থিতিতে ঢাল হতে পারে সুরক্ষাবিধি। যেমন আগের বছর করা হয়েছিল, এ বারও তা করা হবে।
কিন্তু ফোরামের নির্দেশ মেনে যে সব সময়ে কাজ চলছে তাও নয়। ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকের দুই সহ-অভিনেতা ভরত কল ও শ্রুতি দাসের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অনেক ধারাবাহিকেই এখন বিয়ের দৃশ্যের শুটিং চলছে, সেখানে ওই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শুটিং শেষ করা সম্ভব নয় বলেই একাংশের মত। প্রযোজক সুশান্ত দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বেশি রাতে প্যাকআপ করার। তাঁরই প্রযোজিত ধারাবাহিক ‘অপরাজিতা অপু’তে বিয়ের দৃশ্যের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে সোমা চক্রবর্তী বললেন, রাত একটায় সে দিন প্যাকআপ হল। যদিও আমার একদিনই দেরিতে শুটিং শেষ হয়েছিল, কিন্তু বাকিদের কাছে শুনেছি, বেশ কয়েক দিন ধরেই শুটিং শেষ হতে দেরি হয়েছে। তা ছাড়া বিয়ের দৃশ্যের ভিড় জমাতে অনেক জুনিয়র শিল্পী নেওয়া হয়েছিল। সকলকে মাস্ক পরে থাকতেও দেখিনি। একটি মাঠের মধ্যে শুটিংয়ের সেট ফেলা হয়েছিল, সেখানে স্যানিটাইজ় করার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। অভিযোগের উত্তরে সুশান্ত বললেন, কয়েকটি এপিসোডের ব্যাঙ্কিং তৈরি হয়ে গেলেই রাত ন’টার মধ্যে শেষ করে ফেলব শুটিং। আর বিয়ের দৃশ্যের শুটিংও প্রায় শেষ। তাই অতিরিক্ত শিল্পী নিয়ে কাজ করা কমে যাবে। শিল্পীদের কাছাকাছি আসতে হয়, এমন দৃশ্যেরও শুটিং কমিয়ে ফেলা হবে, এ ভাবেই এর পর থেকে চিত্রনাট্য লেখার কাজ করতে হবে। সঙ্গে বয়স্ক ও বাচ্চাদের শুটিংয়ে না রাখারও কথা ভাবা হচ্ছে। সেই সঙ্গে শোনা গিয়েছে, কয়েকটি ধারাবাহিকের দোলের দৃশ্যের বিশেষ পর্বের একসঙ্গে শুটিং হয়েছিল। সেটে যেখানে বহু লোকের জমায়েত হয়েছিল এবং কোনও রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।