নিজস্ব সংবাদদাতা:পাহাড়ে তো অনেক গেছেন,এবার পাহাড়ের একটা হাড়হিম করা জায়গায় নাম শুনুন। দার্জিলিং থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি হিল স্টেশন, একটি ভুতুড়ে জায়গা ডাউ হিল। দার্জিলিংয়ের ডাউ হিলের নাম রয়েছে ভারতের ভুতুড়ে জায়গার তালিকায়। এই ডাউ হিলে রয়েছে সুন্দর পাহাড়ি রাস্তা, অর্কিডের বাগান, পাহাড়ের মধ্যে ঘন অরণ্য এবং চা বাগান। কিন্তু এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামটি পরিচিত অগণিত বাস্তব ভূতের গল্পের জন্য।দার্জিলিংয়ের এই ডাউ হিল হল ভারতের সবচেয়ে রহস্যময় স্থানগুলির মধ্যে একটি।পর্যটকরা শুধু যে এই পাহাড়ি স্থানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন তা নয়, তার সঙ্গে এই ভুতুড়ের স্থানের পিছনে থাকা গল্প শুনতে।
ডাউ হিল রোড এবং বনদপ্তরের মধ্যে অবস্থিত ‘মৃত্যুর রাস্তা’। আপনি যদি একটুও ভুতুড়ে বিষয়ে ভয় পান, তাহলে অবশ্যই এড়িয়ে যাবেন এই রাস্তা। স্থানীয় কাঠুরেরা এই রাস্তায় অনেক বার সাক্ষী হয়েছে মুণ্ডহীন ভূতের। তাঁদের দাবি, দেখা দিয়েই অদৃশ্য হয়ে যায় একটি ছেলের মুণ্ডহীন দেহ। এই রাস্তায় এক নয়, একাধিক বার ঘটেছে এই ঘটনা। কেউ কেউ তাঁদের দিকে লাল চোখ ও উঁকি মারতে দেখেছে। এমনকি ধূসর পোশাক পরা মহিলার ভূতও রয়েছে। পাহাড়ের মধ্যে এই অরণ্যগুলির আবহাওয়া এতটাই খারাপ যে, দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ওই প্রত্যক্ষদর্শীরা হয় তাদের মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে অথবা শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। দীর্ঘ সময়কাল ধরে এই ডাউ হিলের অরণ্যের মধ্যে ঘটে চলেছে অজস্র অস্বাভাবিক মৃত্যু। এরকম আরেকটি জায়গা হল ভিক্টোরিয়া বয়েজ হাই স্কুল। ডাউ হিলের ঘন অরণ্যের মধ্যে অবস্থিত ১০০ বছরের পুরানো ভিক্টোরিয়া বয়েজ হাই স্কুল। ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত শীতের ছুটিতে স্কুল বন্ধ থাকলে, স্থানীয়রা উচ্চস্বরে মানুষের আওয়াজ এবং পায়ের শব্দ শুনেছে।
তাহলে অদ্ভুত সব অনুভূতির সাথে পরিচিত হতে এবং রোমাঞ্চকর স্মৃতির স্বাক্ষী থাকতে একবার হলেও আসতে পারেন কাশ্মীরের ডাউ হিল।