নিজস্ব সংবাদদাতা: সনাতনী ধাচের সাদা পোশাক আর লাল বল বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিল ভারতের ঝুলিতে। নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কপিল দেব। ছেলেরা বিশ্বজয় করে ঘরে ফিরে এসেছিল। কিন্তু সেই মুহূর্তে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড বা বিসিসিআইয়ের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না খেলোয়াড়দের উপহার দেওয়ার। আর সেই সময়েই হাল ধরেন লতা মঙ্গেশকর। তিনি জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠান করে গান গেয়ে অর্থ উপার্জন করেন। টিকিট বিক্রি করে পাওয়া অর্থ বিসিসিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় ‘ঘরের ছেলে’দের স্বাগত জানানোর জন্যে। ১৪ জন খেলোয়াড়কে সেইদিন ১ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
এরপর থেকেই বিসিসিআইয়ের সঙ্গে লতার সম্পর্ক হয়ে ওঠে মধুর। শেষ দিন পর্যন্ত এই সম্পর্ক অটুট রেখেছিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। খেলার ময়দানে ভিআইপি বক্সের দু’টি টিকিট তাঁর জন্যে রাখা থাকতো। বিসিসিআইয়ের এক অধিকর্তা জানিয়েছেন, ”তাঁর ব্যস্ত রেকর্ডিংয়ের মাঝেও সত্তর-আশির দশকে মুম্বইয়ের ওয়ানখেডে স্টেডিয়ামে ভারতের প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই উপস্থিত থাকতেন লতাজি।” তাঁর প্রয়াণে বিসিসিআই ট্যুইটে লিখেছে, ”ভারতীয় ক্রিকেটের একজন উৎসাহিত সমর্থক ছিলেন তিনি। খেলা চলাকালীন উচ্ছ্বসিত থাকতেন ভীষণ। সঙ্গীতকে একটা মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা তিনিই শিখিয়েছেন।”